Lass

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ খালেদা আক্তার নিহতের আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে পুন: ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ জুন কোনাবাড়ির দেওলিয়াবাড়িতে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী মাসুমের হাতে মারপিটের শিকার হন গৃহবধূ খালেদা আক্তার। পরের দিন সকালে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ বসত ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় স্বামীর বাড়ির লোকজন খালেদা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায় এবং অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।

নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের পিঠ, বুকসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে এ ঘটনায় স্বামী মাসুমসহ চারজনকে আসামি করে নিহত গৃহবধূ খালেদা আক্তারের বাবা আব্দুল হান্নান বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর স্বামীসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, নিহতের স্বজনরা আদালতে পুন: ময়না তদন্তেরর আবেদন করলে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পুন: ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গাজীপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদা শাহরীন মাধবীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। মরদেহ উত্তোলনের খবরে এলাকার শতশত মানুষ কবরস্থানে ভিড় জমায়।