দৈনিকবার্তা-সিলেট, ৩১ আগস্ট: সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের পলাতক তিন আসামিকে ৭ দিনের মধ্যে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজন হত্যা মামলার শুনানিতে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক শাহেদুল করিম এই নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।পলাতক তিনি আসামি হলেন-কামরুল ইসলাম,তার ভাই শামীম আহমদ ও পাভেল। এদের মধ্যে কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে আটক রয়েছেন।
সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সৌদিতে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামিকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়ে তাদের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে মামলার শুনানি শেষে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম এ আদেশ দেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।রাজনের বাবা আজিজুর রহমানের নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পলাতক তিন আসামি হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও একই এলাকার পাভেল আহমদ। এর আগে ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করা হয়েছিলো।১৬ আগস্ট বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শাহেদুল করিমের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কমকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।প্রধান আসামি কামরুলসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আর সাক্ষী দেখানো হয় মোট ৩৮ জনকে। সৌদি পলাতক কামরুল ইসলাম ছাড়াও পাবেল, শামীমকে অভিযোগপত্রে (পলাতক) আসামি দেখানো হয়েছ। মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও ইসমাইল হোসেন আবলুসকে।
এছাড়া কামরুলের ভাই মুহিত আলমসহ ফিরোজ মিয়া, আসমত উল্লাহ, চৌকিদার ময়না মিয়া, আলী হায়দার, নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল ও রুহুল আমিনকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। ২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এছাড়া তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্র্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট কামরুল ও শামীমের মালামাল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই সকালে সিলেট নগরীর কুমারগাঁও এলাকায় পৈশাচিক নির্যাতন করে শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুর রহমান আলমের ছেলে। এ ঘটনার পর নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে দেশবাসী।