ripn_73975_316668

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০১৫: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসহায় মন্তব্য করে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, তার পিতার হত্যায় যারা অনুঘটক ছিল এমন ব্যক্তিদের সঙ্গেই তিনি ও তার দলের নেতারা সংসদে বসেন। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।বিএনপির মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অসহায়। যারা তাকে মাইনাস করতে চেয়েছেন তাদেরকে তার মন্ত্রিসভায় নিতে হয়েছে। তাই তার প্রতি বিএনপি সহানুভূতিশীল।

ড. রিপন বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত এসব লোকদের আড়াল করতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে এর সঙ্গে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকার বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে রিপন বলেন,এবার প্রতিকূল পরিবেশেও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন।তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কঠোর সমালোচনা করে রিপন বলেন, তার মন্ত্রিত্ব যখন টলমলে অবস্থায় থাকে তখনই তিনি বিএনপি, জিয়াউর রহমান,খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নিয়ে বিষেদগার করেন। ৭২-৭৫ পর্যন্ত তিনি যে কাজগুলো করেছেন জিয়াউর রহমান যদি তাকে সাধারণ ক্ষমা না করতো তাহলে তিনি বেঁচে থাকতে পারতেন না।দেশজুড়ে বিএনপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। রিপন বলেন, দেশের ৫০টিরও বেশি জেলা থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার খবর পেয়েছি।

মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে বলে তিনি জানান। শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের উপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। শাসক দলের ছাত্র নামধারী গুণ্ডাদের এমন আচরণে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে।তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইনু এখনও পুরোনো কার্ডই খেলে যাচ্ছেন, তাকে নতুন কার্ড খেলতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই আজ মন্ত্রিসভার দায়িত্বে। এটি দুঃখজনক।এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।