দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ আগস্ট: আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোকে ডাবল স্ট্যান্টবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমন ঘটনা যদি আপনাদের দেশে হত তাহলে আপনারা কি করতেন? আপনাদের রাষ্ট্রপতি আথবা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করে যদি খুনিরা বাংলাদেশে অবস্থান নিত তাহলে তো আপনার ড্রোন হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মেরে ছাপা করে দিতেন। অথচ আপনারা এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন। আবার খুনিদের আশ্রয় দেন। আপনারা ডাবল স্ট্যান্টবাজ।
মতিয়া চৌধুরী রোববার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে শোক শোভাযাত্রা পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ গৃহীত ৪০ দিন ব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই শোক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ন্যায় বিচার সকল দেশের জন্য। সবার জন্য সমান। আমরা দেশের জন্য এই ন্যায়বিচার চাই। এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।তিনি বলেন, আমরা যে যত কথাই বলি না কেন ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না এলে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেতাম না। বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে পঁচাত্তর পরবর্তী এমন কেউ ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ পেটভরে ভাত খাচ্ছেন। মানুষের মতো জীবন-ধারণ করছেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তাদের প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি জামায়াতকে উৎখাত করার জন্য এই শোক দিবসের আলোচনা থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে। এ সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজা প্রাপ্ত পালাতক খুনীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
শোক শোভাযাত্রা উপলক্ষে দুপুর পর থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ঢাকার সংসদ সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে সমবেত হতে থাকে। এ সময় তাদের হাতে ছিলো কালো পতাকা, বুকে সাঁটা ছিলো কালো ব্যাজ।সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধভাবে পায়ে হেঁটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে শোক শোভাযাত্রার শেষ করেন।