দৈনিকবার্তা-লৌহজং(মুন্সীগঞ্জ), ৩০ আগস্ট: নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন,শিমুলিয়া রুটে ফেরী চলাচল স্বাভাবিকতা আনতে সোমবার থেকে চায়না সিনোহাইড্রো কোম্পানীর বড় ড্র্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ কাজ শুরু হবে। যেখানে যে পরিমাণ নদীখনন প্রয়োজন সেখানেই নদীখনন করা হবে। ইতিমধ্যেই পদ্মা সেতু বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ফেরী রুটে সার্ভ কাজ চালানো হয়েছে। এখানে বেশকিছু ফেরীও এখন চলাচল করছে। তিনি আরো বলেন, শিমুলিয়া রুটে নাব্যতার যে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটি দূর করতেই বিআইডব্লিউটিএর ৪টি ড্রেজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পদ্মায় প্রচন্ড ¯্রােতের কারণে সেগুলো কাজ চালাতে পারছে না। তবে এখানে মূল প্রতিবন্ধকতাই একমাত্র পদ্মার প্রবল ¯্রােত।
রোববার দুপুরে প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কুমারভোগ ইউনিয়নের কুমারভোগ ,খড়িয়া, শিমুলিয়া ও কনকসার এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় নৌমন্ত্রীর সাথে পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম,লৌহজং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার কালন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ সিকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পদ্মার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন,প্রবল ¯্রােতের কারণে মাঝপদ্মার চরে ¯্রােতের পানি ধাক্কা খেয়ে পার এলাকা ভাঙনের ঘটনা ঘটছে।তবে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।একইসাথে ভাঙন এলাকায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ফালানো হবে বলে তিনি নদী ভাঙন কবলিতদের আশ্বাস প্রদান করেন ।