দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ আগস্ট: গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ এর আয়োজনে ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অপরাহ্ন ৬ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৪-১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ দিনব্যাপী “গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব” এর উদ্বোধন করবেন দুই বাংলার কিংবদন্তী অভিনয় শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও ফেরদৌসী মজুমদার। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন- ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন, অতিথি হিসেবে থাকবেন মামুনুর রশীদ, লিয়াকত আলী লাকী, ঝুনা চৌধুরী ও হাসান আরিফ। স্বাগত বক্তব্য ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন উৎসবের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করবেন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। উল্লেখ্য, উৎসবে মঞ্চ নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত ও পথনাটকে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৫৩টি দল অংশগ্রহণ করবে। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন ৫টা থেকে ৬.৩০ মি. পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।
জাতীয় নাট্যশালা’র মূল হল এবং পরিক্ষণ হলে একইসাথে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটক মঞ্চায়ন হবে। ৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে সংস্তব, ভারত এর নাটক ‘ছাড়িগঙ্গা’, পরিক্ষণ হলে প্রাচ্যনাট এর ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ী’, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে সংস্তব, ভারত এর ‘ভূতনাথ’, পরিক্ষণ হলে অনুশীলন নাট্যদল, রাজশাহী’র নাটক ‘দন্ড’, ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে উত্তরাধিকার, চট্টগ্রাম এর ‘সাম্পান নাইয়া’, পরিক্ষণ হলে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র এর নাটক ‘ইনফরমার’, ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী) এর ‘কঞ্জুস’, পরিক্ষণ হলে দেশ নাটক এর ‘দর্পণে শরৎশশী’, ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে ঋত্ত্বিক, ভারত এর নাটক ‘আদিরাজা’, পরিক্ষণ হলে আরণ্যক নাট্যদল এর নাটক ‘ভঙ্গবঙ্গ’, ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে অণীক, ভারত এর নাটক ‘অশোকানন্দ’, পরিক্ষণ হলে পদাতিক নাট্য সংসদ, বাংলাদেশ এর ‘পোড়ামাটি’, ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্যসংসদ, টিএসসি এর ‘ম্যাকবেথ’, পরিক্ষণ হলে থিয়েটার, বেইলী রোড এর ‘কোকিলারা’, ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় এর নাটক ‘দেওয়ান গাজীর কিস্সা’, পরিক্ষণ হলে প্রাঙ্গণেমোর এর ‘শেষের কবিতা’, উৎসবের শেষ দিন ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে ঢাকা থিয়েটার এর নাটক ‘ধাবমান’ এবং পরিক্ষণ হলে মঞ্চস্থ হবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এর নাটক ‘নীলাখ্যান’।
উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্বে প্রতিদিন ৫টা থেকে ৬.৩০ মি. পর্যন্ত চলবে পথনাটক, আবৃত্তি, গণসঙ্গীত ও নৃত্য। অংশগ্রহণকারী দলগুলো ৫ সেপ্টেম্বর নাট্যযোদ্ধা, ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা, সংবৃতা আবৃত্তি চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র, বহ্নিশিখা, নৃত্যাক্ষ ৬ সেপ্টেম্বর চন্দ্রকলা থিয়েটার, প্রকাশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রান্তিÍশিল্পী গোষ্ঠী, ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র, ৭ সেপ্টেম্বর সঞ্চালক (মুন্সিগঞ্জ), ঢাকা স্বরকল্পন, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী, নবচেতনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৮ সেপ্টেম্বর সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায়, মুক্তধারা সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমী, ৯ সেপ্টেম্বর বাংলা নাট্যদল, কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র, নৃত্যজন, ১০ সেপ্টেম্বর রঙ্গপীঠ, কন্ঠশীলন, আনন্দন, বহ্নিশিখা, ১১ সেপ্টেম্বর মৈত্রী থিয়েটার, মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শ্রুতিঘর, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, সুরতাল, সুকন্যা, ১২ সেপ্টেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ থিয়েটার, স্্েরাত আবৃত্তি সংসদ, স্বরশ্রুতি, পঞ্চভাস্কর, স্বাধীনতা একাডেমী।