2015-08-28_6_109271

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৫: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রকারীরা যে কোনো সময় আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তিনি টার্গেটের মধ্যেই আছেন। যে কোনো সময় ছোবল মারতে পারে ষড়যন্ত্রকারীরা। এ ব্যাপরে দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

মায়া শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের এ আহবান জানান।।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৩০ আগস্ট আওয়ামী লীগের শোক র‌্যালি এবং ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের আলোচনা সভার প্রস্তুতি হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, শেখ বজলুর রহমান ও মুকুল চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো ৭০এর নির্বাচনের সময়। এরপর ৭১-এ ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এখন তাদের টার্গেট শেখ হাসিনা। কারণ ষড়যন্ত্রকারিরা জানেন যে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বেঈমানি করে না। এজন্য তারা শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছে।ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের মধ্য দিয়েই আমাদের আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত নেপথ্যের কুশীবলদের আইনের আওতায় আনতে হবে।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গাজীপুরের মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, আমি বলতে চাই, অপরাধ যারা করে তাদের মধ্যে কিছু লোক সরাসরি জড়িত থাকে, কিছু লোক নির্দেশ দেয়, অর্থ দেয় ও পরিকল্পানা করে। বিদেশে থেকেও নির্দেশ দেয়া যায়, অর্থ দেয়া যায় ও পরিকল্পনা করা যায়। এজন্য অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত অর্থ যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারী কেউই আইনের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। শোক র‌্যালি বিকাল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে।