দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৫: আগামী বছর রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার পর আলো ঝলমলে ক্যারিয়ারের অবসান ঘটানোর কথা ভাবছেন স্প্রিন্ট কিং জ্যামাইকার উসাইন বোল্ট। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠানরত বিশ্ব এ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশীপে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ন পদক জয়ের মাধ্যমে লক্ষ্য পুরণের পর এমন আভাস দেন দারুণ উচ্চসিত বোল্ট।জ্যামাইকান এই তারকা অ্যাথলেট বলেছেন যে ২০১৭ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নশীপে তার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। বরং রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ মিশন।বোল্ট বলেন, আমার মনে হয় আমার পৃষ্ঠপোষকরা চায় রিওর পরও আরো কয়েক বছর আমি যেন দৌড়ানো অব্যাহত রাখি। আমার কোচ বলেছেন, শোন, তুমি যদি লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নশিপকে গুরুত্বসহকারে না নাও তাহলে আমি জোর করবো না।
তবে সবকিছু নির্ভর করছে রিওতে আমি কি করতে পারছি, তার ওপর। আমার যা অনুভুতি তাতে মনে হচ্ছে হয়তো আর এক মৌসুম পর্যন্ত আমি আমার শরীরটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারব। লক্ষ্য পুরণ করতে হলে আমাকে মনস্থির করতে হবে। আর সেই মনোযোগটা আমি আনতে পারব রিও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর। সুতরাং আমাদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে রিও অলিম্পিকের পারফর্মেন্স কেমন হচ্ছে তার দিকে।চলতি বছর পেলভিক সমস্যায় ভোগা বোল্টকে রোববার ১০০ মিটারে হারানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব চেস্টাই করেছেন জস্টিন গ্যাটলিন। তবে ১০০ মিটারের পাশাপাশি ২০০ মিটারেও যুক্তরাষ্ট্রের ওই অ্যাথলেটকে পেছনে ফেলে স্বর্ন পদক জিতেছেন এই জ্যামাইকান। এটি ছিল ২০০ মিটারে ২৯ বছর বয়সী দৌড়বিদের টানা চতুর্থ স্বর্নপদক। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে দারুণ পারফর্মেন্স দিয়ে সবার নজরে আসা বোল্ট এর পর থেকে এ পর্যন্ত একটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ ও অলিম্পিক শিরোপা ছাড়া বাকী সবগুলো শিরোপাই নিজের করে নিয়েছেন।অবশ্য বার্ড নেস্টে বৃহস্পতিবার টিভি ক্যামেরাম্যান সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বোল্টের এই জয়টি কিছুটা প্রতিকুলতার মধ্যে পড়ে যায়। এসময় দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরাবাহী স্কুটারটি তার ওপর এসে পড়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হেসেছেন বোল্টই।স্বর্ন জয়ী বোল্ট এসময় স্মিথ হেসে বলেন, ‘মনে হয় আমার পা দুটি’র বীমা করার দরকার ছিল। এটি যখন ঘটে তখন আমি ক্ষণিকের জন্য ভয় পেয়েছিলাম। তবে দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই।