p iazzzzzz

দৈনিকবার্তা-বেনাপোল, ২৮ আগস্ট: বাজার নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য তিন দফা বাড়িয়ে প্রতি টন ৭০৫ মার্কিন ডলার করেছে। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ পড়ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। গত ১৫ দিন আগেও ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪২৫ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করতেন। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় গত ১০ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এতে করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২২ থেকে ২৮ টাকা এখন স্থানীয় বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আর এ সুযোগে সিন্ডিকেট করে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কেননা আগের আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পূর্ব মূল্যে আমদানি করেছেন। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আর এল বিশ্বাস অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী শংকর বিশ্বাস জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন ঊর্ধ্বগতিতে। এ কারণে রফতানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। এখন পেঁয়াজ দেশের বাইরে রফতানি করতে চাইলে ৭০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে রফতানি করতে হবে।

ভারতের বনগাঁর রফতানিকারক বিবি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিমল বিশ্বাস জানান, আগে তাদের দেশে পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৩০ রুপি প্রতি কেজি। হঠাৎ কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ থেকে ৫০ রুপি হয়েছে। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না। বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিটন ৪২৫ মার্কিন ডলার মূল্য নির্ধারণ করা হলেও ওই মূল্যে ভারতীয় বাজারে তারা পেঁয়াজ কিনতে পারেন না। অনেক সময় নির্ধারিত মূল্যের বেশি, আবার কোনো সময় কমও থাকে। এছাড়া, পচনশীল পণ্যের হিসাব একটু অন্য ধরনের। এ কারণে মূল্যের তারতম্য হয়। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত তাদের হিসাব মতে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি খরচ ছিল ৫৮ টাকা। পাইকারি বাজারে তারা বিক্রি করেছেন ৬০ টাকায়। এখন ৭০৫ মার্কিন ডলারে আমদানি করা পেঁয়াজের খরচ পাড়বে ৬০ টাকা, পাইকারি বাজারে তা বিক্রি করা হবে ৬৫ টাকায় বলে জানান তিনি।

যশোরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আহমদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি তুহিন সাহা জানান, হঠাৎ ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি না। দাম কমে আসলে পরে আবার আমদানি শুরু করা হবে। বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ভারতের কৃষিজাত পণ্যের দাম নির্ধারণী সংস্থা (ন্যাফেড) থেকে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৪২৫ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭০৫ মার্কিন ডলার করার বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের জানিয়েছেন। হঠাৎ করে এই মূল্য বাড়ার ঘোষণায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কোনো আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনেক এলসি ওপারে আটকা পড়বে। এতে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়বে।