ওড়না_পেঁচিয়ে_আত্মহত্যা_65465

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৮ আগস্ট, ২০১৫: বিয়ের পিড়িতে বসলো না ইছতিয়ারা খাতুন মিরা। নিজের ভালোবাসাকে সন্মান জানাতে শুক্রবার ভোরে ঘরের তীরের সাথে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই তরুনী।

জানারা গেছে, প্রতিবেশি কৃষক মোফাজ্জলের পালিত ছেলে মজনুর সাথে ভালোবাসা চলছিল। পরিবার থেকে রাজী না হয়ে, জুয়েল নামের ব্যবসায়ী পাত্রের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেস্টায় ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হয়েছিল এবং শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। মেয়েটি বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকরি গ্রামের কৃষক মহসিন প্রামানিকের।

মিরার বড় মা হাছেনা জানান, রাধানগর মহিলা মাদ্রাসায় এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল মিরা। কিছুদিন আগে তারা জানতে পারেন মজনুর সাথে মিরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পারিবারিক ভাবে এ সম্পর্ককে কেউ মেনে নেয়নি। বগুড়া চকলোকমান এলাকার ব্যবসায়ী পুত্র জুয়েলের সাথে বিয়ের সব ঠিকঠাক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের গায়ে হলুদ হয়ে যায়। মিরা যাতে কোন অঘটন না ঘটায় এবং পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য জ্যাঠাতো ভাই হান্নানের ঘরে তাকে রাখা হয়। রাত পোহালে শুক্রবারেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে। তাই আগে থেকেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে বাড়ি তাই সবাই খুব সকালেই উঠে পরে। মিরা ফযরের নামায আদায় করে ঘরেই থাকে। ভোর ৬টার দিকে ঘরে ঢুকে তীরের সাথে, গলায় ওড়না ঁেপচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন তিনি। এসময় তার চিৎকারে অন্যরা এসে গলার ওড়না কেটে মিরাকে নিচে নামান। ততক্ষনে মিরার মৃত্যু হয়ে যায়।

মজনুর সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি তবে তার মা জানান, সম্পর্কের কথা সবাই জানতেন। মেয়ের পরিবার থেকে রাজী হয়নি। তার ছেলে ঢাকায় এক কম্পানিতে চাকরী করছে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছিল। শাজাহানপুর থানার এসআই তাজমিলুর জানান, মেয়েটির এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্যত্র তাকে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। একারনেই আত্বহত্যা করেছে।