দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ আগস্ট: খালেদা জিয়ার দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ সেপ্টেম্বরকরেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশিবাজারে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ আদালত এ দিন ধার্য করেন।এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়াই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়,খালেদা অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।বৃহস্পতিবার মোট তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী হারুনুর রশিদকে জেরা করেন মামলার অন্যতম আসামি মনিরুল ইসলাম এর আইনজীবী টিএম আকবর। পরে এ মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. ইহসানের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।দুর্নীতির দুই মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক।মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়াও মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন ঢাকার মহানগর হাকিম শামছুল আরেফিন।গত বছরের ২১শে অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।