দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ আগস্ট ২০১৫: পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রাকৃতিক রূপ লাবণ্যে অনন্য এই স্থানটি। যেখানে পাহাড়, নদী ও সাগর একে অপরকে আলিঙ্গন করে একঘরে বসবাস করে। সেখানেই ২০১৪ সালে দেশের স্বনামধন্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত হয়েছিল ‘ওয়ালটন প্রথম বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।’ এবারও এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে এগিয়ে এসেছে ক্রীড়া বান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় শনিবার থেকে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট শুরু হতে যাচ্ছে ‘ওয়ালটন দ্বিতীয় কক্সবাজার বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৫।’ চারদিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্ট চলবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্র“পের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়–য়া অপু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য বিজন বড়–য়া ও টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক রাশেদ হোসেন নান্নু।
এক বক্তব্যে এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় আমরা ওয়ালটন পরিবার স্পোর্টস ট্যুরিজমকে ডেভেলপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সে কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমরা বিভিন্ন খেলাধুলা ও টুর্নামেন্টের আয়োজন করছি। গেল বছর আমরা প্রথম বিচ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলাম। এবারও এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। বিভিন্ন টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই। আরো বেশি পরিচিত করে তুলতে চাই। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রমোট করতে চাই। ভবিষ্যতেও আমরা ওয়ালটন পরিবার নিয়মিত কক্সবাজারে বিভিন্ন প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব।ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজন বড়–য়া বলেন, ‘বিচ ফুটবল বলি, বিচ কাবাডি বলি, ঘুড়ি উৎসব কিংবা সার্ফিং। সবকিছুতেই ওয়ালটন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। কক্সবাজারে আয়োজিত যেকোনো টুর্নামেন্টে আমরা ওয়ালটনকে পাশে পাই। পাশে পাই ডন ভাইকে। সেজন্য ওয়ালটন পরিবারকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- এবারের এই ওয়ালটন দ্বিতীয় বিচ ফুটবল টুর্নামেন্টে কক্সবাজার জেলার আটটি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করছে। দলগুলো হল- আবাহনী ক্রীড়া চক্র, ন্যাশনাল কক্স ক্রীড়া সংঘ, মালুমঘাট ক্রীড়া সংঘ, ইয়ংমেন্স ক্লাব, কোটবাজার খেলোয়াড় সমিতি, ফুটবল ক্লাব মহেশখালী, বাঁশকাটা খেলোয়াড় সমিতি ও শতদল ক্লাব।টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে ২০ হাজার টাকা পাবে। রানার্সআপ দল পাবে ১৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সকল দলকে অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।