দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ আগস্ট: ভারতের গুজরাটে শিক্ষা ও চাকরিতে বিশেষ কোটার দাবিতে প্যাটেল সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সামাল দিতে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ডাকে গুজরাটে বুধবার সকাল থেকে অবরোধ চলছে। গুজরাটের মূল শহর আহমেদাবাদ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অধিক সুযোগ নিশ্চিত করার কোটার দাবিতে ভারতের গুজরাটে প্যাটেল সম্প্রদায়েরর তিন লাখের বেশি মানুষ গতকাল মঙ্গলবার আহমেদাবাদে বিক্ষোভ করে।আহমেদাবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ২২ বছর বয়সী হার্দিক প্যাটেল।
নিম্নবর্ণের কয়েকটি গোষ্ঠীসহ ¯’ানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংস রূপ ধারণ করে।সহিংস বিক্ষোভ সামাল দিতে আহমেদাবাদ ও সুরাটের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।এ ছাড়াও সহিংসতার আশংকায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছ। পুলিশ বলছে, আন্দোলনে লোক জড়ো করতে বিক্ষোভকারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা হার্দিক প্যাটলকে অনশন মঞ্চ থেকে তুলে নিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই উত্তেজনা চরমে ওঠে।এদিকে হার্দিক পটেলকে গ্রেফতারের পর বিক্ষোভকারীরা গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রজনী পটেলের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত হার্দিককে ছেড়ে দেয়া হয়।নিজেদের ‘অনগ্রসর জাতি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বেশকিছু দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছে রাজ্যের প্যাটেল সম্প্রদায়। গুজরাটের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিরই সমর্থক ছিলো তারা। কিন্তু কোটা সংরক্ষণের দাবি রাজ্যের বিজেপি সরকারের সঙ্গে ক্রমশই তাদের দূরত্বের সৃষ্টি করেছে।