দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ আগস্ট: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আজ কাশ্মির সমস্যা ও হুরিয়তের মতো পক্ষ ছাড়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সুষ্ঠু আলোচনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন।দু’দেশের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) পর্যায়ের বেঠক বাতিল হওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন নওয়াজ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নওয়াজ বুধবার স্পষ্ট করে দেন, কাশ্মির প্রসঙ্গ ছাড়া দু’দেশের মধ্যে বেঠক অর্থহীন। কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতারা কাশ্মির সমস্যার অন্যতম অংশীদার। তাই ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যে কোনো বৈঠকের আগে তাদের মতামত নিয়েই আলোচনায় বসবে পাকিস্তান।
ভারত চেয়েছিল, উফা-বিবৃতি অনুযায়ী এনএসএ পর্যায়ের বৈঠক হোক শুধু সন্ত্রাস নিয়ে। ওই বৈঠকের আগে পাকিস্তান এন এস এ সরতাজ আজিজের সঙ্গে হুরিয়াত নেতাদের আলোচনার দাবিতে অনড় থাকলেও ভারত সেই দাবি মেনে নেয়নি। শেষ মুহূর্তে এনএসএ বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরে নওয়াজ আজ জানিয়ে দিলেন, ভারত-পাক আলোচনায় কাশ্মির সমস্যা উঠবেই। এবং কাশ্মির সমস্যা মেটাতে হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কখনোই ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসবে না পাকিস্তান।
মন্ত্রিসভার কাছে এভাবে কাশ্মির প্রশ্নে নওয়াজের সরব হওয়ার পিছনে অভ্যন্তরীণ চাপ কাজ করছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তাদের মতে, উফার যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মির প্রসঙ্গ না থাকায় ঘরোয়া রাজনীতিতে প্রবল চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল নওয়াজকে।
কৌশলগত কারণেই নওয়াজের এই মন্তব্য নিয়ে এখনই খুব কড়া কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে না দিল্লী। নওয়াজ তার গদি বাঁচানোর তাগিদে যা-ই বলুন, তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলারই কৌশল নিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালরা। যাতে নওয়াজ ও তার সরকারের সঙ্গে তালমিল রেখে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে এগিয়ে নেয়া যায়। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। সেখানে নওয়াজের সঙ্গে আলাদা বৈঠকেও বসতে চান মোদি। তার প্রস্তুতি হিসেবে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বরং ধাপে ধাপে কমিয়ে আনতে চায় ভারত।