doinikbarta-rab

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ আগস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র্যাব বিলুপ্তির প্রয়োজন নেই৷ তারা দায়িত্ব পালনে সফল৷ দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তারা আইন অনুসারেই কাজ করছে৷মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন৷ র্যাব বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আইন মেনেই কাজ করছে৷ আবার র্যাবের কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷বন্দুকযুদ্ধে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজুর মৃতু্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আরজুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে র্যাবের চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগিরি নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফেরত আনা হচ্ছে৷এদিকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে৷ র্যাব পরিবর্তন বা বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে কারণে র্যাব তৈরি হয়েছিল সেভাবেই কাজ করছে তারা৷ তারপরও তাদের আরো সাবধানতার সঙ্গে আইনসম্মতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানালেন, আইন মেনেই কাজ করছে র্যাব৷ আর যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে৷ তাই র্যাবের গঠন এবং কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে না৷ পরিবর্তনের কোনো কারণও নেই৷আরজুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে র্যাবের চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদের আদালত৷ এর আগে রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত আরজুর বড় ভাই মাসুদ রানা৷ র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, র্যাব পরিবর্তনেরও সুপারিশ করা হয়েছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে কারণে র্যাব তৈরি হয়েছিল সেভাবেই কাজ করছে তারার্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনসম্মতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলার নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারত সরকার৷ এটি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যেকোনো সময় ফেরত পাঠানো হবে৷ আর পুলিশও প্রস্তুত রয়েছে তাকে গ্রহণ করার জন্য৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নূর হোসেনকে যেকোনো সময় ফেরত দেবে ভারত৷ আমাদের সঙ্গে দু’একবার কথা হয়েছে৷ হয়তো তাদের কোনো জটিলতার জন্য দেরি হচ্ছে৷ তবে সীমান্তে আমাদের লোকজন প্রস্তুত রয়েছেন৷সর্বশেষ অবস্থা আপনারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারবেন৷ তারা জানালে আমরা ফেরত নিতে প্রস্তুত আছি৷কী প্রক্রিয়ায় তাকে ফেরত নেওয়া হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেকোনো একটি প্রক্রিয়ায় তাকে ফেরত নেওয়া যেতে পারে৷বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দমদম জেলে বন্দি নূর হোসেনকে পুশ-ব্যাক ফর্মুলায় ফেরত দিতে ভারত ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে৷নূর হোসেন আর তার অপর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে উত্তর চবি্বশ পরগনার জেলা আদালতে৷ সোমবার ওই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অপর দুই আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় শুনানি হয়নি৷ আদালত ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন৷ সেখানেই মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন উত্তর চবি্বশ পরগনার প্রধান সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু৷

গত বছরের ১৪ জুন বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন বাগুইআটি থানা এলাকার একটি বহুতল ফ্ল্যাট থেকে নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশের মামলায় দমদম জেলে রয়েছেন নূর হোসেন৷ অভিযোগ প্রত্যাহার করা হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকছে না৷গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়াডের্র কাউন্সিলার নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন৷ আর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠা ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ পরদিন ১ মে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া যায় নদীতে৷অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়াডের্র সে সময়কার কাউন্সিলার নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়৷