দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৫ আগস্ট ২০১৫: বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে ১৪ গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বন্যার্তদের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিন হাজার পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীতে আকর্ষিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পায়। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর কুল উপচে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩হাজার পরিবার। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে না। তবে যমুনা নদীতে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষ বসতভিটা ছেড়ে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে গোবাদী প্রাণীর সঙ্গে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে বানভাসি মানুষ।
বন্যাদূর্গত এলাকার মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পয়-নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। এদিকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় বসতবাড়ীতে অবস্থান করছে। পানিবন্দি বাড়ীতে চুরি রোধে অনেক বাড়ীতে অবস্থান করছে গৃহবধূরা। এদিকে বন্যার কারণে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এনজিও’র ঋণের কিস্তি নিয়ে তারা বিপাকে রয়েছে। এদিকে ১৪ গ্রামের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হলেও তাদের জন্য সরকারি ভাবে অপ্রতুল ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি ভাবে ৩০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল এবং ৫০ পরিবারকে ৫০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ না পেয়ে বাঁধে আশ্রিত অধিকাংশ পরিবারের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যার পানি নিমজ্জিত হয়েছে ২০০ বিঘা আবাদী জমি। পানিবন্দি হওয়ায় ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের নিকট পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।