1399113557Potuakhali-district-mep

দৈনিকবার্তা-পটুয়াখালী, ২৫ আগস্ট: পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজী সহকারী শিক্ষক মোঃ আক্তারুজ্জামান ও ব্যানিজ্য বিভাগের শিক্ষক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষে গত কাল সোমবার প্রধান শিক্ষক বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পৃথক তদন্ত কমিটি। এর আলোকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের পাঠদান এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে এ ঘটনা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষদের যৌন হয়রানির ঘটনা শহর জুড়ে ছিল আলোচনার মুল বিষয় বস্তুু।

এতে বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে আছেন উৎকন্ঠার মধ্যে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ করার শর্তে জানান, ইংরেজী শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সবগুলির সত্যতা পাওয়া গেছে। যা তারা প্রতিবেদন আকারে প্রধান শিক্ষকের কাছে সোমবারই জমা দিয়েছেন। ঐ সুত্রটি আরো জানায়, শিক্ষক আক্তারুজ্জামান এর আগে বরগুনা বালিকা বিদ্যালয়ে একই অভিযোগে সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এখানে এসেও সে একই কাজে লিপ্ত হন। জামায়েত সমর্থিত শিক্ষক হলেও একের পর এক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে এসব বিবেক বর্জিত কাজ করেও প্রতিবারই পার পেয়ে যান অজ্ঞাত কারনে। এর আগে পটুয়াখালীতে যোগদানের পর পর প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন মামলা দায়ের করেন। যে মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

অপর অভিযুক্ত শিক্ষক মতিউর রহমানের তদন্তেও অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার বরিশালে ডিডি, শিক্ষাকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে তাৎক্ষনিক বদলীর অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। এ দিকে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে উৎকন্ঠিত ও আতঙ্কিত অভিভাবকরা জনান, শিক্ষকদের এ প্রাইভেট পরানোর ব্যাবসার কাছে আমরা জিম্মি। আবার প্রাইভেট পরতে দিলে শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বিবেক বর্জিত আচরন। তারা এ ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষককেও দায়ী করেন। কারন শিক্ষকদের এ প্রাইভেট বানিজ্যর কথা জেনেও কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে কোন না কোন ভাবে ঐ সব ঘৃন্য মানুষরূপী পশুদের সহযোগীতা করছেন। তারা আক্তারুজ্জামান, মতিউর ও প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর প্রভাতি শাখার ২০ ছাত্রীর অবিভাবকরা শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ নানা নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সোমবার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। এ অপর দিকে একই স্কুলের ব্যানিজ্য বিভাগের শিক্ষক মতিউর রহমানের কাছে বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফজলুর রহমানের কন্যা ফারহানা আমবেরিন লিওনা প্রাইভেট না পরায় তাকে ক্লাসে বিভিন্ন সময়ে মানুষিক নির্যাতন, কটুক্তি ও স্বাস্তি দেয়ার অভিযোগ এনে এর আগের দিন গত রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে।