দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ আগস্ট: বাংলাদেশের টেক্সাটাইল শিল্পখাতে চীন ৩শ মিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৭শ ৩০ কোটি টাকা প্রায়) বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিজ নিজ সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী গে হুচেং বিনিময় পত্রে স্বাক্ষর করেন।মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের মুহিত বলেন, টেক্সাটাইল শিল্প ছাড়াও রেলওয়ে, জুট, ব্রিজ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী গাও হুচেং।
রাজধানীর অদূরে পূর্বাচল উপশহরে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের লক্ষে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে মঙ্গলবার পৃথক দু’টি বিনিময় পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।বিনিময় পত্রের আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৭৯৬ কোটি ১ লাখ টাকার মধ্যে চীন সরকার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুদান সহায়তা প্রদান করবে।অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,প্রধানমন্ত্রীর চীন সরফরের সময় অনুষ্ঠিত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যেসব প্রকল্প প্রস্তাব চীনা সরকারের কাছে দিয়েছি, এর সবগুলোতে তারা সাড়া দিচ্ছে। এ সব প্রকল্পগুলো মূলত; রেলপথ, টেক্সটাইল, পাট, জ্বালানী, রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ খাতের।
চীনের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক দ্রুত সম্প্রসারিত হচেছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন চীনা বিনিয়োগকীরা বাংলাদেশে আসছেন। তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজছেন। ইতোমধ্যে একজন বিনিয়োগকারী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনও সেটা অনুমোদন করে নাই বলে তিনি জানান।সফররত চীনা প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, চীন সরকার এখন মায়ানমার হয়ে কুনমিংয়ের সাথে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
১৭০ কিলোমিটারের এই রাস্তার বাংলাদেশ অংশের ২৩ কিলোমিটার আমরা নির্মাণ করবো। আজ একনেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।আলোচ্য বিনিময় পত্রের আওতায় প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী চীন সরকার ১৫’শ গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য একটি নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণসহ ৮’শ প্রদর্শনী বুথ নির্মাণ এবং পাবলিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। নকশাসহ প্রকল্পের গাড়ী পার্কিংসহ অবকাঠামো নির্মাণের মোট আয়তন হবে ৩৩ হাজার বর্গমিটার।
এছাড়া চীন সরকারের ২৯ লাখ ৫০ হাজার আরএমবি ইউয়ান সমপরিমাণের ৩৫ কোটি টাকার অনুদানের অর্থে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাচ অব মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট এন্ড এ্যাপলিয়েন্স’ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ সরবরাহের লক্ষে আরো পৃথক দু’টি বিনিময় পত্র উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।এই অনুদানের অর্থে চীন সরকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং বাংলাদেশী টেনকিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।বিনিময় পত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংগিয়ানসহ চীন ও বাংলাদেশ সরকারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।