দৈনিকবার্তা-সিলেট, ২৫ আগস্ট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ আবারো পিছিয়েছে।এ নিয়ে অভিযোগ গঠনের দিন সপ্তমবারের মতো পেছাল ।মঙ্গলবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল।আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো আজও আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে অভিযোগ গঠন করা যায়নি। মামলার অন্যতম আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (বরখাস্তকৃত) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থতাজনিত কারণে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন, কিবরিয়া হত্যা মামলায় অতীতে বেশ কয়েকবার তারিখ নির্ধারিত ছিল।
একই তারিখে অন্য মামলায় আসামিদের হাজিরা থাকায় তারা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে, মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। ঢাকাসহ অন্য আদালতে আসামিদের হাজিরা আছে কি-না, তা জেনে পরবর্তীতে তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।মঙ্গলবার আদালতে ১৩ আসামি উপস্থিত এবং ৯ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে জামিনপ্রাপ্ত ৮জন এবং হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গউছ, জেএমবির মিজানুর রহমান মিন্টু, হাফেজ মো. নাঈম, বদরুল আলম মিজান ও রিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ২১ জুন আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য ৬ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেন। পরে ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০ ও ১৮ আগস্ট আলোচিত এ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আদালতে আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে গেছে । ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান এ ঘটনায় ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।তিন দফা তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারি পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ৩৫ জনের নামে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী সহ এ মামলার ১০ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন ১৪ আসামি এবং জামিনে রয়েছেন ৮জন। অন্য ২ আসামির সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায়নি এবং মামলার বিচার কাজ চলাকালে ১ জন আসামী মারা গেছেন।