দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য করা আবেদনের শুনানির তারিখ ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন।আইনজীবী সগীর হোসেনর বলেন, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে নাশকতার তিনটি মামলায় ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। কিন্তু তিনি এখনো দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন। তাই তাঁর জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আবেদনগুলোর শুনানির তারিখ ৩১ আগস্ট ধার্য করেছেন।
গত ১৩ জুলাই নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ছয় সপ্তাহের জন্য বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান মির্জা ফখরুল।ওই আদেশে বলা হয়েছিল, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন অনুসারে মির্জা ফখরুলের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তিনি গুরুতর স্টেনোসিসে (রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যাওয়া) আক্রান্ত। এ জন্য তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। মির্জা ফখরুলকে দেওয়া জামিন শারীরিক কারণে ছয় সপ্তাহের জন্য বহাল রাখা হলো। এ সময়ের মধ্যে তিনি চাইলে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে চলতি বছরের শুরুতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ বছরের ৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানার সাতটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার মামলা ছয়টি ও মতিঝিল থানার একটি।