দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০১৫: আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দশম সংসদ নির্বাচনের বাইরে থাকা দল বিএনপির। ২০১৪ সালে দলটির আর্থিক লেনদেনে অর্ধকোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। ওই সময় দলটি সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। যেখানে আয় হয়েছে মাত্র দুই কোটি ৮৭ লাখ টাকার বেশি। সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বিএনপির পক্ষ থেকে বার্ষিক আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ কিছু দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত দলের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে ইসি।রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে দলের পক্ষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়।হিসাব জমা দিয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্য একেএম আমিনুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৫৯০ টাকা।ওই সময়ের ঘাটতি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৬ টাকা আগের বছরের উদ্বৃত্ত থেকে মেটানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইসিতে যাওয়া প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন- বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং বিএনপির অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অডিট কর্মকর্তা ওমর ফারুক।সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন জানান, শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, সদস্য ফরম বিক্রিই আয়ের প্রধান উৎস। আর ব্যয়ের খাতের উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যাতায়াত, কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা, ইফতার মাহফিল, অফিস খরচ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ইত্যাদি। এছাড়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ২৫টি দল হিসাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু ২২টি দল যথাযথ নিয়ম মেনে অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায়, তাদের প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি ইসি। এদেরও ৩১ আগস্টের মধ্যে ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।এদিকে ৬টি দল এবার কোনো সাড়া দেয়নি। কোনো দল পরপর তিনবছর ইসিতে তার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।