দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ আগস্ট: মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছের ঘন জঙ্গলে আরো কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে যেখানে ২০ জনেরও বেশি হতভাগ্যের লাশের অবশিষ্টাংশ আছে।রোববার মালয়েশীয় পুলিশ জানিয়েছে, এরা সবাই মানব পাচারের শিকার বলে মনে করছেন তারা।ঘন জঙ্গল বেষ্টিত থাই-মালয় সীমান্ত মানব পাচারকারীদের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে লোকজন এনে এই সীমান্তের বিভিন্ন গোপন শিবিরে তাদের আটক রাখে পাচারকারীরা এবং এখান থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাচার করে।তবে অনেক সময়ই অভিবাসীদের অস্বাস্থ্যকর এসব শিবিরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বন্দিদের উপর অকথ্য নির্যাতনসহ অভুক্তও রাখা হয়।
শনিবার মালয়-থাই সীমান্তের বুকিত ওয়াং বার্মা এলাকায় গণকবরগুলো খুঁজে পায় পুলিশ, এখান থেকে ২৪টি মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করে তারা। মে মাসে এই এলাকার কাছাকাছি কয়েকটি অবৈধ বন্দিশিবির থেকে কয়েকশত অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করেছিল মালয় কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, চলমান অভিযানে অবৈধ অভিবাসীদের আরো লাশ পাওয়া গেছে, মাটি খুঁড়ে ২৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।লাশগুলোর অবশিষ্টাংশগুলো মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।তবে লাশগুলো মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের না বাংলাদেশীদের, তাংক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি ।