7a5eurpa-290x181

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ আগস্ট: তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের সভাপতি ইমরান এইচ সরকার। তিনি অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিল ও সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদ সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার এই দাবি করেন।সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্রশাসনের মিথ্যাচার, জনগণের হাহাকার’; ‘৫৭ ধারা বাতিল কর, প্রবীর সিকদারকে মুক্ত কর; ‘মুক্ত চিন্তায় হামলা, রুখে দাঁড়াও বাংলা’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন। সমাবেশে ভাস্কর রাশা, ব্লগার বাকি বিল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে মঞ্চের অর্ধশত নেতা-কর্মী অংশ নেন।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, সংবিধানের ৩৯ নম্বর ধারায় বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। অথচ ৫৭ ধারায় বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ৬৬ (ক) ধারা নামে এমন একটি আইন ছিল। সেটা বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে তাদের সুপ্রিম কোর্ট বাতিল ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকে ভাবতে হবে আমরা কি সামনে এগোব, না ভিন্নমতকে, সমালোচনাকারীকে দমন করতে এমন কালো আইন করব; যাতে সরকারের বিরুদ্ধে বা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলবার সাহস না পায়?ইমরান এইচ সরকার সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, প্রবীর সিকদারের নামে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিয়ে আপনারা প্রমাণ করুন, তাঁর সাথে করা অন্যায়কে আপনারা প্রশ্রয় দেননি, আপনারা মত পাল্টেছেন।’ভবিষ্যতে যাতে তাঁকে হয়রানি না করা হয় এ জন্য তাঁর নিরাপত্তা দেওয়ারও দাবি করেন তিনি। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রবীর সিকদারের ভাই পীযূষ সিকদার বলেন, ‘একার কষ্ট যখন সবার হয়ে ওঠে তখন খুব ভালো লাগে। আমার ভাই এখন সবার ভাই হয়ে উঠেছে, এটা খুব ভালো লাগছে।’ তাঁর ভাইকে আর হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যা জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।