দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ আগস্ট: ফেনী ,বান্দরবান, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮৫টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৭৪টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। ২টি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৪টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানির স্রোতে রাস্তাগুলো ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বেড়েছে জনদুর্ভোগ।এদিকে, পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এনিয়ে গত এক মাসে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। গত ২৫ জুলাই মুহুরী নদীর বেড়ি বাঁধের ফুলগাজী অংশে ৮টি স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সাতক্ষীরা জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।এছাড়া ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান, হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা তথ্য কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বলা হয়, বহ্মপুত্র-যমুনা-গঙ্গা-পদ্মা ও মেঘনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃিদ্ধ পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।আগামী ৪৮ ঘন্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮৫টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৭৪টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। ২টি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৪টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফেনী : প্রবল বর্ষন ও ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী ঢলের পানির চাপে ফেনীর মুহুরী নদী, কহুয়া নদী ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধে নতুন করে ১০টি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বেড়ি বাঁধের আগের ৮টি স্থলসহ মোট সহ ১৮টি অংশ দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। এতে উপজেলা সদরের ফুলগাজী বাজারসহ অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এনিয়ে গত এক মাসে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। গত ২৫ জুলাই মুহুরী নদীর বেড়ি বাঁধের ফুলগাজী অংশে ৮টি স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, পরশুরামের সুবার বাজার এলাকায় মুহুরী নদী ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধের ১০টি অংশে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পৌর এলাকার সলিয়া, গুথুমা. বেড়াবাড়ীয়া এছাড়া ও মির্জানগর ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর বেড়ী বাধ ভাঙ্গনের কারনে ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সুবার বাজারের একাংশ, উত্তর মনিপুর, গদানগর,কালিকৃষ্ন নগর, পুর্বসাহেব নগর এছাড়া কহুয়া নদীর শালধর নামক স্থানে বেড়ী বাধ ভাঙ্গার কারনে শালধর বাজার সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া বিলোনিয়া, বাউরপাথর বাউরখুমা গ্রামের আশ্রয়নসহ প্রায় ১০ টি মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল এর ৫ টি মাছের ঘের বন্যার পানিতে তালিয়ে যায় এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মেয়রের সহকারী জানান। এসব এলাকার গ্রামীন সড়ক সমুহ তলীয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, বীজতলা ও রোপা আমন তলীয়ে গেছে ফুলগাজী বাজার প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলীয়ে গেছে। সব দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কিসমত ঘনিয়া মোড়া, জয়পুর,পূর্বঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া, সাহাপাড়া, বৈরাগপুর,বরইয়া, দক্ষিন দৌলতপুর, উত্তর দৌলতপুর, পেচিবাড়িয়া,কহুমা গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যা কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ফেনীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু দাউদ মোঃ গোলাম মোস্তফা, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র এর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম জানান, তিনটি নদীর প্রায় ১০ টি স্থানে বেড়ী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিনি জানান প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন সম্ভব না হলেও ধারনা করা হয়েছে মৎস্য খামার সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান সলিয়া গ্রামের ৫টি বসত ঘর তলিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক জানান, অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গতকাল শুক্রবার মহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ত্রিপুরার পানির চাপ কমলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বান্দরবান:বৃৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবানে সার্বিক বন্যা পরি¯ি’িতর কিছুটা উন্নতি হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেলা শহর এবং লামা উপজেলার নিচু এলাকার বানের পানি কমছে।বন্যাআশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কয়েক শ’ পরিবার এখনও অবস্থান করছেন।বানের পানি কমলেও বিপুল পলিমাটি জমে যাওয়ায় ব্যাপক কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে বসতঘর ও রাস্তাঘাটগুলো।দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় এবং পর পর চারদফা পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানির স্রোতে জেলা শহরের রাস্তাগুলো ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।কৃষকরা তাদের জমিতে পুনরায় আমন বীজতলা সৃষ্টি করলেও সেগুলো চতুর্থ দফার বন্যায় ডুবে বিনষ্ট হয়েছে। বানের পানিতে আবারও তলিয়ে যাওয়ায় নলকূপ, রিংওয়েল এবং পাইপ লাইনগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসন বন্যাদুর্গতদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ মজুদ রেখেছে এবং ইতিমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত বন্যার্ত পরিবারগুলোর মাঝে চালসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েেেছ।জেলা মৃত্তিকা বিভাজন কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক আকারে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু পাহাড় ধসের ঘটনায় লামায় ৬জন এবং জেলা শহরে একজন নিহত হয়েছে।তিনি বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ও পাহাড়ঘেঁষে গড়ে উঠা বসতিগুলো থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরানো দরকার।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং জেলা প্রশাসন থেকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও জেলা শহর ও উপজেলা সদরগুলোতে পাহাড়ধসের অতিঝুঁকিতে বসবাসরত শত শত পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে যায়নি। জেলা শহরের অদুরে পুলপাড়া এলাকায় বেইলি সেতু বানের পানিতে ডুবে থাকায় বান্দরবান-রাংগামাটি সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। জেলা সদরের সাথে রুমা, থানছি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়কপথের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ২দিন ধরে।
মুন্সীগঞ্জ: দক্ষিনবঙ্গের ২১ জেলার সাথে যোগাযোজের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মা নদীর লৌহজং টার্নিং চ্যানেলে পানির গভীরতা ফেরী চলাচলের মতো না থাকায় এ ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত রাত থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ আছে।শুক্রবার সকালে ৪টি ফেরী কাওড়াকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও নাব্যতা সংকটের কারনে ৩টি ফেরী শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসে। মাত্র একটি ফেরী কাওড়াকান্দি যেতে পেরেছে। এদিকে ফেরী চলাচল না করায় শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় পাচ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এতে বিড়ম্বনায় পরেছে পারাপারে অপেক্ষায় থাকা হাজার হাজার যাত্রী।
ফেরী চলাচল বন্ধের কথা স্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম এস এম আশিকুজ্জামান জানান, চ্যানেলে পানি কমে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে ৪টি ফেরীর মধ্যে মাত্র ১টি ফেরী কাওরাকান্দি যেতে পেরেছে। ভাটার সময় পানি কমে যাওয়ায় এখন ফেরী চলাচল বন্ধ আছে। পানির গভীরতা বেড়ে গেলে আবার ফেরী চলাচল শুরু হবে। ১৮টি ফেরীর মধ্যে রো-রো ফেরীর চলাচল প্রায় ৮দিন ধরে বন্ধ আছে।
ধুনট(বগুড়া): উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙনের কবলে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ পুরাতন বাঁধ।শুক্রবার দুপুরের দিকে ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে যমুনার বাঁধে এ ভাঙন দেখা দেয়।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ জানান, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.১০ সেন্টিমিটার সমতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে রঘুনাথপুর গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ পুরাতন বাঁধসহ যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে।২০০৯ সালে রঘুনাথপুর গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ পুরাতন বাঁধ রক্ষাসহ যমুনা নদীর ভাঙনরোধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০০মিটার এলাকায় ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেখানে সিসি ব্লক ও বালি ভর্তি জিও বস্তা ফেলে তিন বছর আগে প্রকল্পের কাজ শেষ করেন ঠিকাদার।
কিন্তু গত জুন মাসের প্রথম দিকে রঘুনাথপুর গ্রামের পুরাতন বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও বস্তা ফেলে জরুরিভাবে ভাঙনরোধ করে। শুক্রবার (২১ আগস্ট) একই স্থানে নতুন করে আবারও ভাঙন ধরেছে।ভাঙনের কবলে পড়ে পুরাতন বাঁধে আশ্রিত রঘুনাথপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন, আলতাব হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদের, তফিজ উদ্দিন, আলাল সেখ, আমেনা বেগম, হাসান আলী, আলম মিয়া, আসলাম হোসেন, লোকমান হোসেন ও চায়না বেগমসহ ১৫টি পরিবারের বসতভিটা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে যমুনা নদীতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে, রঘুনাথপুর গ্রামের বাঁধে আশ্রিত ১৫টি হতদরিদ্র পরিবারের বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়েছে। জরুরিভাবে ভাঙনরোধে কাজ করা প্রয়োজন।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যমুনা নদীতে পানির প্রবল স্রোতের কারণে পুরাতন বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।