দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২১ আগস্ট ২০১৫: গাজীপুর ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকার প্রাক্তন যুবলীগ নেতা দুধর্ষ কিলার নিহত হয়েছে। নিহতের নাম সাইদুর রহমান ওরফে কিলার সাইদুর ওরফে বাড্ডা সাইদুর (৩৫)। সে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার(খ-৪৪) শিমুলতলা এলাকার মৃত মো. জইমত আলীর ছেলে এবং ঢাকার বাড্ডা ৯৭নং ওয়ার্ডের শিমুলতলা ইউনিট যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ডিবি পুলিশের দু’কন্সটেবলও আহত হয়েছে।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে তিন হত্যা মামলার আসামি সাইদুর রহমান ওরফে কিলার সাইদুর ওরফে বাড্ডা সাইদুরকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকা হতে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। সে বাড্ডা থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। পরে তার বক্তব্য অনুযায়ী দক্ষিণ সালনা এলাকার সামাদের পরিত্যাক্ত পোল্ট্রি খামার থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সাইদুরকে নিয়ে মধ্যরাতে অভিযানে বের হয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পুলিশের দলটি দক্ষিণ সালনা এলাকার জনৈক হাতেমের বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওঁত পেতে থাকা সাইদুরের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের গুলি বিনিময় কালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাইদুরের দু’পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। বন্দুকযুদ্ধে দুই ডিবি পুলিশের দু’কন্সটেবল ইয়াসিন (৩০) ও উজ্জল (৩১) আহত হয়েছে।
গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইদুর মারা যায়। নিহত সাইদুরের বিরুদ্ধে এ্যাডভোকেট সোহেল হত্যা এবং মানিক নামের এক যুবকের হাত কেটে নেয়ার ঘটনাসহ গাজীপুরে দু’টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও দু’টি হত্যাসহ বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। সাইদুরের বিরুদ্ধে বাড্ডার আলোচিত ‘ট্রিপল মার্ডারের’ ঘটনায় স্থানীয়দের সন্দেহভাজন হিসেবে ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে তার নামও এসেছিল। তবে ওই ঘটনায় মামলার তদন্ত করছে ঢাকা ডিবি পুলিশ।বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল জানান, সাইদুর বাড্ডা থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় (প্রায় ১৫ মিনিট পর) সাইদুরের মৃত্যু হয়। তার দুই পায়ের উরুতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।