20-08-15-PM_Nine Bridges Six Divisions_Gonobhaban-6

দৈনিকবার্তা-মাদারীপুর, ২০ আগস্ট: মাদারীপুরে নির্ধারিত সময়ের ৫ মাস আগেই উদ্বোধন করা হলো মাদারীপুর -শরীয়তপুর- চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের মাদারীপুরের কাজীরটেক এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি উদ্বোধন হওয়ায় আনন্দিত মাদারীপুর-শরীয়পুরসহ আশ-পাশের কয়েকটি জেলার সাধারণ মানুষ। এতে মংলা-চট্টগ্রাম পোর্টের দূরত্ব কমবে প্রায় ১২০ কিলোমিটারের। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আচমত আলী খান সপ্তম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধনকালে প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সপ্তম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু আচমত আলী খানের নামে দিয়েছি। আপনারা জানেন, তিনি ১৯৭০ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন, ১৯৭৩ সালে ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং যথেষ্ট অবদান রয়েছে তার দেশের স্বাধীনতার জন্যে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা সাংসদ রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি, জেলা পরিষদের প্রশাসক মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে কাজীরটেক সেতু এলাকায় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। এ সময় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।

এ সেতু নির্মণ প্রসঙ্গে সপ্তম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু প্রতল্প পরিচালক খান কামরুল আহসান জানান, চীনা প্রতিষ্ঠান আনহুই কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানীর সার্বিক তত্ত্ববধানে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ২০১৩ সালের ২ মার্চ ৬৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যে এবং ১৩ মিটার প্রস্থ্যের সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তার করা হয়। সেতুটি প্রায় ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যারিজ ওয়ের প্রশস্ততা রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ মিটার। ব্রীজের দুই পাশেই আড়াই মিটার করে ৫ মিটার যায়গা সংরক্ষিত আছে। কথা ছিল ২০১৬ সালের প্রথম মাসেই সেতুটির উদ্বোধন করা হবে। অথচ নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করেন। ফলে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নে এসব অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল হয়ে উঠবে। কমে যাচ্ছে ফেরিসহ নৌযানের যাতায়াতের দুর্ভোগ।

ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান জানান, দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। এর ফলে লঞ্চ, ফেরিসহ অন্যান্য নৌযানের উপর চাপ কমে আসবে। বিকল্প রুট হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে পায়রার মংলা বন্দরের প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে। ফলে এই সব এলাকায় ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করছি।’

উল্লেখ্য, আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, টেকেরহাট, টুমচর ও আঙ্গারিয়া সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এসকল সেতু চীনা প্রতিষ্ঠান আনহুই কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র“প কোম্পানীর সার্বিক তত্ত্ববধানে নির্মিত হয়েছে।