Gazi1440060140

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ আগস্ট ২০১৫: সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে নিয়ে সরকারের সব ষড়যন্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নস্যাৎ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমীন গাজী।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।শওকত মাহমুদকে নিয়ে সরকার নাটক সাজিয়েছে উল্লেখ করে রুহুল আমিন গাজী বলেন, তিনি চোর-ডাকাত নন, তিনি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের কথা বলেন। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।সরকারের প্রতি আহ্ববান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধৈর্যের সীমা আছে, সেটা ভেদ করবেন না। আমাদের আন্দোলন কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা শওকত মাহমুদকে মুক্ত করবো।অবিলম্বে শওকত মাহমুদকে মুক্তি না দেয়া হলে সড়কপথ ঘেরাও এবং আমরণ অনশনের হুমকিও দেন এ সাংবাদিক নেতা।তিনি বলেন, অধিকাংশ মিডিয়া সরকারের পক্ষে কথা বললেও সরকারের ভয়ের একটাই কারণ- তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।

আইনশৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশে গাজী বলেন, শওকত মাহমুদকে রিমান্ডের নামে অশোভন আচরণ করা হলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলে উঠবে। সেই আগুনে আপনাদেরও পুড়তে হবে।তাদের ভাষ্য, শওকত মাহমুদ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা একথা ঠিক; কিন্তু সেই পরিচয় তার সাংবাদিকতার পরিচয়কে কখনোই ছাপিয়ে যায় না। একজন দক্ষ, প্রথিতযশা সাংবাদিকের যেমন আচরণ প্রাপ্য শওকত মাহমুদের সঙ্গেও তেমন আচরণ করাই বাঞ্ছনীয়। একটি গাড়ি পোড়ানো মামলায়’ শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে ও রিমান্ডে নেওয়ার পর বাংলানিউজের কাছে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তারা। অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সাংবাদিকরাও শওকত মাহমুদের এই গ্রেফতার ও হয়রানির নিন্দা জানিয়েছেন।শওকত মাহমুদের রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে সাংবাদিক পরিচয়কেই মুখ্য করে দেখছেন সাংবাদিকসমাজ ও মুক্তচিন্তার গণতন্ত্রকামী মানুষ।ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীরাও বলছেন, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা না হলে সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার হতে হত না। আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানোর মত লোক তিনি নন। তাকে হুকুমের আসামি বলে ধরে নেওয়া ও গ্রেফতার করা স্রেফ হয়রানিরই নামান্তর।

গত ১৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়েছিলেন শওকত মাহমুদ। সেখান থেকে তাকে আটক করে ‘গাড়ি পোড়ানো মামলায়’ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হলে অনেক আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা যেত। কারণ তিনি প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে এই হয়রানিতে পড়লেন শওকত মাহমুদ।এটা অনভিপ্রেত। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আনোয়ার কবির বুলুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব এমএ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, শাহীন হাসনাত প্রমুখ।