দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,নতুন নতুন সেতু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই আমার লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে শোকগাথা বুকে সয়ে কাজ করে যাচ্ছি শুধু একটা কারণেৃ আমার বাবা বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসতেন। সেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য।বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬ জেলায় ৯টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুগুলো উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। সেতুর মাধ্যমেই এখানে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই তার সরকার সারাদেশে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন করছে।তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে একটা যোগাযোগের নেটওয়ার্ক আমরা তৈরি করছি, যাতে েেযাগাযোগটা আরও সহজ হয়, মানুষের জন্য যাতায়াত সুবিধা হয়। যোগাযোগ যত উন্নত হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগও তত বাড়বে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।এ কারণে সড়ক, রেল ও নৌ-পথের পাশাপাশি বিমানবন্দরের সুবিধা বাড়াতে সরকার কাজ করেছে বলে জানান তিনি।এটুকু বলব যে, আমাদের সাধ্যমত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেভাবেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত করতে চাই, সম্মৃদ্ধশালী করতে চাই। বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে যেন বাঙালি জাতি অধিষ্ঠিত হতে পারে- সেটাই আমরা করতে চাই।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়কের কুশিয়ারা নদীর উপর চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু, মাদারীপুর (মোস্তফাপুর)-শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর কাজীরটেকে আচমত আলী খান বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এবং মাদারিপুরের টেকেরহাট, চুমচর ও আঙ্গারিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপড় শেখ রাসেল সেতু, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী মহাসড়কে মাতামুহরী নদীর ওপড় বাটাখালী সেতু, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর উপর আব্দুজ জহুর সেতু এবং গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা-নাকাইহাট- গোবিন্দগঞ্জ সড়কে করতোয়া নদীর উপর বড়দহ সেতুও এ সময় উদ্বোধন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ মাঝপথে বন্ধ করে দেয়।এরকম বন্ধ হয়ে যাওয়া ৪৮টি সেতুর কাজ ২০০৯ সালে আবার শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটির কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।উন্নয়ন কাজ বন্ধ করার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ওরাতো উন্নয়ন চায় না। নিজের ভাগ্য গড়তে আসে। আমরা আসি জাতির ভাগ্য গড়তে।অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।