দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১৯ আগস্ট: গাজীপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর এ রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। সে গাজীপুর মহানগরীর পূর্ব বাহাদুরপুর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা বেগম ও ভাই জাহিদ হাসানকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
ওই আদালতের স্পেশাল পিপি এবিএম আফফান জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার কাইঞ্জানুল এলাকার হাছেন আলী খানের মেয়ে আয়েশা আক্তার লিজার সঙ্গে পাশ্বর্তী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। তাদের চার বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিজাকে মারধর করতো। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আয়েশা আক্তার লিজাকে (২৮) তার স্বামী জাহাঙ্গীর মারধর করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বসত ঘরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে আয়েশা আক্তারের পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়েশাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামুন খান বাদি হয়ে ঐ দিনই আয়েশা আক্তারের স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, তার মা জাহানারা বেগম ও ভাই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। জয়দেবপুর থানার এসআই মোঃ কামাল হোসেন মামলার তদন্ত শেষে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে ওই আদালত স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, স্পেশাল পিপি ফজলুল কাদের এবং স্পেশাল পিপি এবিএম আফফান। আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন মো. ফজলুল হক।