দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ আগস্ট ২০১৫: কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ানোয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক সাংবাদিককে তিনবছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।সোমবার পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবির এই রায় দেন।দণ্ডিতরা হলেন- বিডি ওয়েল্ডিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম নুর“ল ইসলাম এবং ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি’ পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিম।দুজনকে ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ৬ টাকা ৯০ পয়সা দরের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সায় উন্নীত করেন। এভাবে কম টাকায় শেয়ার কিনে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন।আইনের ২৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেল-জরিমানা করা হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মো. মাসুদ রানা খান ও হাসিবুর রহমান দিদার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ ও টিএম মহিউদ্দিন আহমেদ।বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিডি ওয়েল্ডিংয়ের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ একটি কমিটি গঠন করেছিল।কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের সাবেক এমডি এসএম নুরুল ইসলাম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছিলেন, সৌদি বিনিয়োগকারী গ্র“প আল আওয়াদের সঙ্গে ই-মেইলে কোম্পানির যোগাযোগ হয়েছে। গ্র“পটি তাদের সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রামে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চায়। এজন্য ওই বছরের ৯ মার্চ বিডি ওয়েল্ডিং কারখানা পরিদর্শনেরও প্রস্তাব পাঠায় সৌদি গ্র“পটি।কিন্তু অনুসন্ধানে কমিটি জানতে পারে- কোনো বিদেশি কোম্পানি কারখানা পরিদর্শনে আসেনি। বিডি ওয়েল্ডিংয়ের অফিস থেকে জব্দ করা কাগজপত্র অনুযায়ী সৌদি বিনিয়োগকারী আল আওয়াদ গ্র“পের নামে পাঠানো ই-মেইলগুলো ‘উইকলি দ্য ইন্ডাস্ট্রি’ (বর্তমানে ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি’) পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিম তার অফিস থেকেই পাঠান।আর সৌদি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ সংক্রান্ত খবরটি ডেইলি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালের ১ মার্চ।