দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ আগস্ট: দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকাওে প্রস্তুত আছে শোক দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, খুব বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই চলবে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. রিপন এ কথা বলেন।ড. রিপন বলেন, এমন একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সকল দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে। দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এরকম বক্তব্যকে সাদুবাদ জানিয়ে রিপন বলেন- খুব বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না।দেশের চলমান সংকট উত্তরণে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা দিন।
বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটবে না। তার এই ত্যাগের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই। বিরোধীদলও সংসদের নির্বাচিত নয়। মেকি সংসদ নিয়ে বেশিদিন চলা যায় না। এছাড়া সরকারের নৈতিক কর্তৃত্ব না থাকায় সারাদেশে খুনোখুনির পরিস্থিতি চলছে। আশাকরি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি অনুধাবন করবেন।চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর যুবলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,এধরনের ঘটনা কোনো সভ্য দেশে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আগে চাঁদাবাজি হতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন সেক্টরে। কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এসবের প্রতিবাদের জন্য শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার পরিস্থিতিও দেশে নেই।
দেশে খুনোখুনির রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে রিপন বলেন, প্রতিদিন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা অন্তঃকোন্দলের কারণে খুন হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম আবদুল হালিম, এম এ কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি প্রমূখ ।