দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ১৫ আগস্ট ২০১৫: বগুড়ায় পিতার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা আদায় করতে সাজানো অপহরণ নাটকে প্রকৌশলী মেহেদী হাসান স্ত্রী সহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। শনিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত অপহরণ নাটকের ঘটনার বর্ণনা দেন। জানাযায় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান নোয়াখালী সরকারী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এর পর বগুড়া রিলায়েবল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউশনের টেক্সটাইল বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
পাশাপাশি বগুড়া শহরের কলোনীতে পারফেক্ট কোচিং সেন্টার চালু করেন। কোচিং সেন্টরের পিছনে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেন। ঐ কোচিং সেন্টারের ব্যবসায় ধস নামলে পিতার ২ কাছ থেকে নেয়া ২ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেয়া ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তিনি অপহরণের সাজানো নাটকের ফন্দি আটেন। এমতাবস্থায় পিতার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের কৌশল হিসেবে তার নিজ ছাত্র ইউসুফ উদ্দিন কে অপহরণকারী সাজিয়ে এই অপহরণ নাটক তৈরি করে প্রায় ১০ দিন আত্মগোপনে থাকেন। এবং তিনি আত্মগোপনে থেকে পিতার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জেলা পুলিশ ও পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ ও ক্রমাগত জেরার মুখে ভিকটিমের স্ত্রী প্রথমে এই অপহরণ নাটকের ঘটনা স্বীকার করেন। এর পর গোয়েন্দা দল ভিকটিমের স্ত্রী আয়েশা আকতার কে দিয়ে কৌশলে ভিকটিমকে পিরোজপুর থেকে ডেকে এনে বগুড়ার গাবতলী হতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করেন। এবং তার সহযোগী ছাত্র ইউসুফ কে বগুড়ার চেলোপাড়া হতে আটক করে।