দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০১৫: রাজধানীর বাড্ডায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শামছু মোল্লা ও মানিক নামে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২জন নিহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে।বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- শামসু মোল্লা ও মানিক।পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে চারজন আহত হন। সংঘর্ষের পর তিনজনকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে শামসু মোল্লা ও মানিক দুজন মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ের শ’ খানেক গজের মধ্যে ওই পানির পাম্প ঘরের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিয়মিত আড্ডা দেন। এর মধ্যেই রাত ৯টার দিকে হামলা হয়।ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসবক লীগের সহসভাপতি মারুফ আহমেদ মানিক বলেন, তারা ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলেন, ওই সময় অতর্কিত হামলা হয়।“আমি আলোচনা থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছিলাম, এর মধ্যেই শুনি গুলির শব্দ, এসে দেখি চারজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।”ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিন থেকে চারজন হেঁটে এসে গুলি চালায়।“গুলি চালিয়েই তারা চলে যায়,” বলেন তরিকুল ইসলাম নামের প্রত্যক্ষদর্শী।