দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ আগস্ট: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে “শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক ৭ থেকে ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ১৪ আগস্ট ২০১৫ শুক্রবার সকাল ১০.৩০টায় প্রায় দুই শতাধিক শিশুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর গল্প শোন শীর্ষক ছোটদের গল্প বলার আসর। বিকেল ৫.৩০টায় একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালার ১নং গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হয় দশজন বরেণ্য শিল্পীর বঙ্গবন্ধুর ১০টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী, বিশিষ্ট শিল্পীদের ১০৩টি শিল্পকর্মের প্রদর্শনী, একাডেমীর সংগৃহিত বঙ্গবন্ধু শীর্ষক ৫০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী এবং একাডেমীর ৪নং গ্যালারীতে চিত্রকলা ও আলোকচিত্রের ৬০টি আলোকচিত্র নিয়ে শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু শীর্ষক মোট ২২৩টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন সমরজিৎ রায় চৌধুরী, রেজাউল করিম, নাসিম আহমেদ নাদভী, নাইমা হক, নাসরিন বেগম, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, সৈয়দ হাসান মাহমুদ, অলকেশ ঘোষ, আব্দুল মান্নান, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শেখ আফজাল, দেওয়ান মিজান, নাসিমা খানম কুইনি, গুলশান হোসেন, কামালুদ্দিন, রাসেল কান্তি দাস, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মোহাঃ আলপ্তগীন, কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস প্রমূখ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী, একাডেমীর সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক জনাব শাওকাত ফারুকসহ বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ। প্রদর্শনী চলবে ৩১ আগস্ট ২০১৫ প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
সন্ধ্যা ৬.০০টায় একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় “শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক স্মরণাষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ( ১৯৭৩-১৯৭৫) ড: মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ।
আলোচনা শেষে সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, জারী গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোন একটি মুজিবরের এবং দুখিনী বাংলা জননী বাংলা দুটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী রেপার্টরি সঙ্গীত দল, একক সঙ্গীত স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতার একটি নাম পরিবেশন করে শিল্পী সজীব, বঙ্গন্ধু মুজিবর বাংলার দুধের সর তারে বিনে বাঁচেনা প্রাণ এই বাংলার জারী গান পরিবেশন করে শিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতী, সেই রাতের কল্পকাহিনী আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুজিব মানে আর কিছুনা গানের সাথে ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, পাষান খুনিরে একক গান আবু বকর সিদ্দিক,
একক গান ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর পরিবেশনায়, আবৃত্তি শিমুল মোস্তফা, দ্বীপ নিভে গেছে মম গানের সাথে দীপা খন্দকারের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুজিব বাইয়া যাওরে গান করে আব্দুল জব্বার, যদি রাত পোহালে শোনা যেত গান করে মলয় কুমার গাঙ্গুলী, পরিচয় আবৃত্তি করে মিজানুর রহমান সজল, বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্দ গানের সাথে ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য করে ধৃতি নর্ত্তনালয়, একক গান এস আই টুটুল, বঙ্গবন্ধু মরেনাই গান করে রীনা আমিন, বাঙ্গালি কি ভুলতে পারে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং রুখে দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও দুটি সমবেত সঙ্গীত করে বহ্নিশিখা, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক গানের সাথে দীপা খন্দকারের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং একক গান করে টুংটাং।