china-update-29536

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০১৫: চীনের একটি বন্দরে বড় ধরণের বিস্ফোরণ স্থলের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দারা শুক্রবার তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। সেখানে কয়েকশ’ মেট্রিক টন মারাতœক বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে এমন খবর প্রকাশের পর তারা এ শংকা ব্যক্ত করে।তিয়ানজিনের কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিস্ফোরণ ঘটা ওই গুদামে কি ধরণের পদার্থ ছিল তারা এখনো তা জানতে পারেননি। সেখানে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫০ জনের প্রাণহানি ও সাত শতাধিক লোক আহত হয়।তবে এরআগে বেইজিং নিউজের খবরে বলা হয়, প্রস্তুতকারকদের মতে সেখানে অন্যান্য বিশেষ ধরণের দ্রব্যের পাশাপাশি কমপক্ষে ৭শ’ টন সোডিয়াম সায়ানাইড ছিল। ওই এলাকার নর্দমার ময়লা আবর্জনা পরীক্ষা করে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের আলামত পাওয়া গেছে।এ প্রতিবেদনটি শুক্রবার ওই সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে বেশীক্ষণ ছিল না।চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, চীনের সামরিক বাহিনীর ২১৭ জন পারমাণবিক ও জৈব রাসায়নিক পদার্থ বিশেষজ্ঞের একটি দল বৃহস্পতিবার ঘটনা স্থলে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।

শুক্রবার আশেপাশের এলাকায় তেমন একটা কর্ম চাঞ্চল্য দেখা যায়নি। ভয়াবহ দুর্ঘটনা লের পৃথক তিনটি স্থানে এখনো ধোঁয়া উড়তে ও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এ বন্দর অভিমুখী বিভিন্ন রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে কিছু পুলিশ সদস্যকে আতœরক্ষামূলক কোন পোশাক না পরে, আবার কিছু পুলিশকে গ্যাস প্রতিরোধ মুখোশ পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কর্মকর্তারা বিস্ফোরণ স্থল দেখতে আসা বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় এবং তাদেরকে ছবি তুলতে নিষেধ করে। তারা বলে এখানে দেখার কিছু নেই।পার্শ্ববর্তী একটি অফিস ভবনের নিরাপত্তা কর্মী লিউ জংগুয়াংকে (৫০) কমদামের একটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিষ্ট পার্টির সরকারি মুখপত্র পিপলস ডেইলি জানায়, ওই স্থাপনাটি নিরাপত্তা আইন স্পষ্ট লঙ্ঘন করে নির্মাণ করা হয়।চীনের আইনে রয়েছে মারাতœক উপকরণ মজুদ রাখা গুদাম ঘরগুলো অবশ্যই আবাসিক ভবন ও প্রধান রাস্তা থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে সামান্য দূরত্বে দু’টি আবাসিক চত্ত্বর ও প্রধান রাস্তা ছিল।তারা আরো জানায়, পার্শ্ববর্তী এলাকায় দু’টি হাসপাতাল, একটি কনভেনশন সেন্টার, বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও একটি ফুটবল খেলার মাঠও ছিল।