4110559369_53dd86b414_o

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০১৫: বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশনের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বালাজী রেলরোড সিস্টেম লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মোজাম্মেল হক এবং বালাজী রেলরোড সিস্টেম লিমিটেডের কর্পোরেট হেড কমার্শিয়াল তপন ঘোষ।চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন,বালাজী রেলরোড সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল শ্রীবাস্তবসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম।

৫১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ৬৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং সরকারি অর্থ ১২২ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার টাকা। ভারতীয় ঋণ সহায়তায় এই প্রকল্প ৩০ মাসে বাস্তবায়ন করা হবে।রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বক্তৃতা করেন।রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। ভারতীয় সহায়তা বাংলাদেশ রেলওয়ের বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।তিনি আশা প্রকাশ করেন, বালাজী রেলরোড সিস্টেম লিমিটেড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুলাউড়া শাহবাজপুর সেকশনের পুনর্বাসন কাজ শেষ করবে। কাজের মান উন্নত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন। রেলওয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশ রেলওয়েসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে এবং এই সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশনের পুনর্বাসনের কাজ শেষ হলে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এই সেকশন চালু করা হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত হবে এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।