Jhenaidah Journalist Human Pic-2

দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ১২ আগস্ট ২০১৫: প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমানসহ দেশব্যাপী কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা, ষড়যন্ত্র ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহের কর্মরত সাংবাদিকরা।বুধবার দুপুরে জেলার ৬ উপজেলা থেকে সাংবাদিকরা ব্যানারসহ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মিছিল সহকারে শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল মা’বুদ, সাবেক সাধরণ সম্পাদক এম রায়হান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহমান খোকা, আমিনুর রহমান টুকু, নিজাম জোয়ার্দ্দার বাবুল, শেখ সেলিম, শহিদুল ইসলাম, আলাউদ্দীন আজাদ।
শৈলকুপার সাংবাদিক এম হাসান মুসা, শাহিন আক্তার পলাশ, আলমগীর অরোন্য, শিহাব মল্লিক, তাজনুর রহমান ডাবলু, হরিণাকুন্ডুর নাজমুল আহসান, সাইফুজ্জামান তাজু, কালীগঞ্জের জামির হোসেন, মিঠু মালিথা, মহেশপুরের আব্দুর রহমান, আব্দুস সেলিম, জিয়াউর রহমান, নাসির উদ্দীন, কোটচাঁদপুরের কামাল হাওলাদার, শেখ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু সমাবেশে সাংবাদিকের কর্মসূচির সাথে একাতœতা ঘোষণা করে বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে সাংবাদিক আজাদ রহমানকে চিনি। তিনি চাঁদাবাজী করতে পারেন না। অথচ তার নামে চাঁদাবাজী মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ব্যক্তি। দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া মিথ্যা তথ্যে কৃষিমন্ত্রী বিভ্রান্তি হয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন। তিনি বলেন, আদালতের চোখ বন্ধ নয়। নিশ্চয় প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিক আজাদ ন্যায় বিচার পাবেন। মামলাগুলো মিথ্যা প্রমানিত হবে বলে মেয়র মিন্টু আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবন্দের সাথে আলোচনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

সমাবেশে উপজেলা থেকে আগত অন্যান্য বক্তারা দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্র ও মুক্তমতকে বাঁচাতে হলে সাংবাদিকদের বাঁচাতে হবে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সমকাল সাংবাদিক সায়েম ও সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। বন্ধ মিডিয়াগুলো খুলে দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থেই আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে। তৃনমুলের সাংবাদিকরা বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সরকারী দলের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই মিথ্যা মামলা হয় এবং মারধর করা হয়। কোন প্রতিকার নেই।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রথম আলো প্রতিনিধি আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০ টি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মানববন্ধন ও সমাবেশটি পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু।