দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১২ আগস্ট ২০১৫: গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বুধবার এক হোটেল ব্যাবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও একইদিন দুপুরে কালিয়াকৈরে ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। কলেজ ছাত্রী হত্যা নাকি আত্মহত্যা করেছে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দেবর-ভাবীকে (নিহতের স্বামী ও তার ভাবী) আটক করেছে।কালিয়াকৈর থানার এসআই সফিউল আলম জানান, এলাকাবাসির সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি গ্রামের মাহবুবুর রহমান বেপারীর ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার স্ত্রী জ্যোতি আক্তারের (১৯) ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারনা পারিবারিক কলহের জের ধরে সে মারা যায়। এঘটনায় নিহতের স্বামী মাহবুব ও মাহবুবের বড় ভাই মাসুদ রানার স্ত্রী বদরুন্নাহার বিউটিকে (২৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার ভিডিপি ও একাডেমিস্থ ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জ্যোতি স্থানীয় রশিদপুর এলাকার জাহিদুল ইসলাম জসিমের মেয়ে।
এদিকে অপর ঘটনায় শ্রীপুর মডেল থানার এসআই সোহরাওয়ার্দী হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকার সজল ঘোষের ছেলে সোহাগ (২৫) মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাজারে নিজেদের খাবার হোটেলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এলাকাবাসি বুধবার সকালে স্থানীয় বংশী বদন সাহার বাড়ির পাশের (দক্ষিণে) আম গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো সোহাগের লাশ দেখতে পায়। তার দু’পা মাটিতে লেগে থাকা ও ভাঁজ করা অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা।পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।