দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ আগস্ট ২০১৫: চলতি শতাব্দিতে বিশ্বের জনসংখ্যা কমার কোন লক্ষণ নেই। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা সাতশ ৩০ কোটি থেকে নয়শ ৭০ কোটি গিয়ে দাঁড়াবে। আর এই শতাব্দির শেষ নাগাদ এ সংখ্যা হবে ১১ শ ২০ কোটি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে জনসংখ্যা বিষয়ক ‘ ২০১৫ সালের যৌথ পরিসংখ্যান বৈঠকে’ এ তথ্য জানান জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন আর উইলমথ এ তথ্য জানান।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লোক বাস করে এশিয়া মহাদেশে। এ অঞ্চলের বর্তমান জনসংখ্যা ৪শ ৪০ কোটি। চলতি শতাব্দির মাঝামাঝি এটি গিয়ে পাঁচশ ৩০ কোটি গিয়ে দাঁড়াবে। এরপরই এই সংখ্যা কমতে শুরু করবে। শতাব্দির শেষ নাগাদ এই মহাদেশের জনসংখ্যা হবে চারশ ৯০ কোটি। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির, যাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি তবে জন্ম হার কম, এসব দেশে চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ প্রবীনদের সংখ্যা বাড়বে।জন আর উইলমথ বলেন, এই শতাব্দির শেষ নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ কমতে পারে।তিনি বলেন, ‘ভারতসহ চীন ও ব্রাজিলকে আগামি দশকগুলিতে প্রবীনদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, পেনশন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, আফ্রিকার সাহার অঞ্চলীয় দেশগুলিতে এখনও জনসংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এই অঞ্চলে নজিরবিহীন কোন প্রক্রিয়অয় জন্মহার না কমানো গেলে চলতি শতাব্দিতে বিশ্বের জনসংখ্যা কমবে না। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি করা জনসংখ্যা পরিবর্তনের মডেল অনুযায়ী, ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা সাড়ে নয়শ কোটি থেকে ১৩শ ৩০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে পরিচালকের ভূমিকায় থাকবে আফ্রিকা মহাদেশ। এই অঞ্চলের বর্তমান জনসংখ্যা ১শ ২০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে এই শতাব্দির শেষ নাগাদ এটি বেড়ে তিনশ ৪০ কোটি থেকে পাঁচশ ৬০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে।