দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ আগস্ট ২০১৫: ফার্গুসনে সহিংস পরিস্থিতির কারণে সোমবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সেন্ট লুইস কাউন্টির নির্বাহী স্টিভ স্টেনজার জানান, ফার্গুসন ও এর আশেপাশের জেলায় পুলিশ অবিলম্বে জরুরি অবস্থা কার্যকর করছে।নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে পুলিশের গুলি করে হত্যার এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে শনিবার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় এবং তা অব্যাহত থাকে। রোববার পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১৮ বছর বয়সী টাইরোনি হ্যারিসের গুলিবিদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সহিংস রূপ নেয়। এর পরই কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়।এদিকে পরে টাইরোন হ্যারিসের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলাসহ কয়েকটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া পুলিশ ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। আহত হ্যারিসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিসৌরির গভর্ণর জে নিক্সন বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। পেনসিলভেনিয়ার পির্টসবার্গে পুলিশের এক সমাবেশে অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ রোববারের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।সোমবার সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফার্গুসনের বাইরের মূল মহাসড়ক বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পুলিশও শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অ্যাক্টিভিস্ট কর্নেল ওয়েস্টসহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে।গত বছরের আগস্টে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ মাইকেল ব্রাউনকে হত্যা করে। নভেম্বরে আদালত পুলিশকে অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত না নিলে ফার্গুসন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে । ফার্গুসনের যেসব এভিনিউয়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে সেখান থেকেই ব্রাউনের পিতা মাইকেল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নেতৃত্বে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।উল্লেখ্য ব্রাউন হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ সমস্যার প্রকটতা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।