দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ আগস্ট ২০১৫: নৌ-পথের নাব্যতা উন্নয়নে ২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ নামে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পসহ মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের নিয়মিত বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, একনেক বৈঠকে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ নামে একনেক সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো পানি প্রবাহ হ্রাস, ক্রস-বাউন্ডারি প্রবাহ হ্রাস, পলি প্রবাহ বৃদ্ধি এবং জোয়ারের প্রবাহ কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে নাব্যতা হারাচ্ছে। ফলে মাছের উৎপাদন, সেচ কার্যক্রম ক্রমশ হ্রাস ও বন্যায় পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ব্যাহত হচ্ছে।মুস্তফা কামাল বলেন, নৌ- পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে বর্তমানে ১৮টি ড্রেজার আছে। বছরে এ ড্রেজারগুলোর ড্রেজিং ক্ষমতা ১১০ লক্ষ ঘনমিটার। ২০টি ড্রেজার আনা হলে প্রতিবছর ২৩২ দশমিক ৫০ লাখ ঘন মিটার ড্রেজিং সক্ষমতা অর্জন করবে বিআইডব্লিউটিএ।তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা দুই ধাপে ২০টি ড্রেজার আনবো। প্রথম দুই বছরে ১০টি ড্রেজার এবং পরবর্তী ২ বছরে ১০টি ড্রেজার আনা হবে। মাঝারি ও বড় দুই সাইজের ড্রেজারই আনা হবে।অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো: ৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গোদাগাড়ি-আমনুরা-নাচোল-পার্বতীপুর-আড্ডা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।রংপুর সিটি কর্পোরেশন রাস্তা উন্নয়ন এবং ড্রেন কাম-ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি–রপ্তানিকৃত দ্রব্য সামগ্রীর গুদামজাতকরণ ও আনা- নেয়ার সুবিধাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সোনাহাট স্থল বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।বিজিবির জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ( জেসিও) এবং অন্যান্য পদধারীদের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত পারিবারিক বাসস্থান নির্মাণে ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিবির সদর দপ্তরে জেসিও ও অন্যান্য পদধারীদের জন্য ২টি ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক স্থাপন প্রকল্প (সংশোধিত)। প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি করে ৪০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।নওগাঁর ছয় উপজেলায় সেচ সুবিধা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা দূর করতে নওগাঁ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।