Lama

দৈনিকবার্তা-লামা, ০৯ আগস্ট ২০১৫: বান্দরবানের লামা উপজেলায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’১৫ পালন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে ‘আদিবাসী জাতি সমূহের জীবন ধারা উন্নয়ন নিশ্চিতকরন’ এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন থেকে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবির শতাধিক নারী পুরুষের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে আদিবাসী দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লামা উপজেলা সভাপতি অংগ্য মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ভুমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লামং চাক্। মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অংথিং রাখাইন, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অংথোয়াইহ্লা মার্মা, উপজেলা জন সংহতি সমিতির সাধারন সম্পাদক স্বপন আসাম সাইনথোয়াই, সহ সাধারন সম্পাদক চংপাত ¤্রাে, আলীকদম জন সংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বাচিংনু মার্মা, উপজেলা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক উথোয়াইছা মার্মা ও নাইক্ষ্যংমুখক ইউনিট কমিটি মেনলূং ¤্রাে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিংহ্লামং চাক্ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথা সারা দেশে ৫০ আদিবাসী ভাষা ভাষির মধ্যে ইতিমধ্যে অনেক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পার্বত্যাঞ্চলের মার্মা, ত্রিপুরা, চাকমাসহ ৪৫টি সম্প্রদায়কে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর সরকার কথা রাখেনি বরং আদিবাসীদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হিসেবে গন্য করেছেন। এ জন্যেই আমাদের আন্দোলন। আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে আদিবাসী জাতি সমূহের জীবন ধারা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ আন্দোলন শুধু জেএসএস’র নয়, এটি ৪০ লক্ষ আদিবাসীর আন্দোলন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বাঙ্গালী হওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আদিবাসী ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছি। আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবেনা।