tareq-muslim-league-b-chy-_thereport24_305393

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ আগস্ট: বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ,এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী শিশু হত্যা ও নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন।তিনি বলেন, শিশু হত্যা ও নারী ধর্ষণ জঘণ্য অপরাধ। এসব অপরাধ দমনে বি. চৌধুরী আলাদা ফোর্স গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, এ পর্যন্ত দেশে শিশু হত্যা ও নারী ধর্ষণের ঘটনায় কতজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে তার হিসাব সরকারকে দিতে হবে।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে পুরানা পল্টনের ট্রপিকানা টাওয়ারে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বি.চৌধুরী বলেন, এই সরকারের প্রধান ব্যর্থতা পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশের ভাবমূর্তি নেই, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। শিশু ও নারীদের রক্ষায় পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে। তাই নারী ও শিশুদের রক্ষায় বিশেষ ফোর্স গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। আজ মায়ের পেটেও শিশু নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৬ মাসের মধ্যে শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখন স্বাধীন রাজনীতি নেই। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুনাখুনি, অরাজকতার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করব, জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করব, রাজপথে মিছিল করব, তাও করা যায় না। বি.চৌধুরী বলেন, এই সরকারের ভিত্তি গণতান্ত্রিক নয়, কারণ তারা শতকরা ৫ ভাগ ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এই নির্বাচন নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দলের সভানেত্রীরও এতে সম্মতি ছিল। কিন্তু এখন তারা ওয়াদা ভঙ্গ করে বলছে ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে।

বি চৌধুরী বলেন, এখনকার রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা ও অর্থ উপার্জনের জন্য। দেশে শ্রদ্ধার রাজনীতি নাই। এক দল আরেক দলের নেতাকে ঘৃণা করে। তিনি বলেন, বিকল্পধারার বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে কেউ ছোট হয় না এবং ঘৃণা করে কেউ বড় হয় না। দু:খের বিষয় এ দেশে একদল আরেক দলকে ঘৃণা করে, গালাগালি করে। বি.চৌধুরী বলেন, মুসলিম লীগ একটি বাস্তবতা।

বাংলাদেশের অনেক বড় দল ও বড় বড় নেতাও মুসলিম লীগ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। অনেকের রাজনৈতিক জীবনই শুরু হয়েছে মুসলিম লীগ দিয়ে। মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মুত্তালিব আখন্দ, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, অতিরিক্ত মহাসচিব আলহাজ্ব মো. হাসান সালাম সেলিম, আলহাজ্ব মো. কুদরত উল্লাহ, আলহাজ্ব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই ইসলাম মিলন, নির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিজ হাওলাদার, রিদওয়ানুল বারী কেন্দ্রীয় নেতা নবী চৌধুরী।

বিকল্পধারার নেতাদের মধ্যে ছিলেন ওবায়দুর রহমান মৃধা, আসাদুজ্জামান বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম শোভন, জানে আলম হাওলাদার, বিএম নিজাম প্রমুখ। এছাড়া সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, দেশ প্রেমিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ফরাজী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।