দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ আগস্ট ২০১৫: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজের ওপর আরোপ করা সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও জে এন দেব চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল দেন।ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক খন্দকার আবদুস সালাম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী জনস্বার্থে আজ এ নিয়ে একটি রিট দায়ের করেন।রিট আবেদনকারীর আইনজীবী হাসান এম আজিম বলেন, আদালত অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরপর তা কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়।এর আগে ২০১০ সালে অর্থমন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাড়ে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন। তখন এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিলে সরকার প্রস্তাবটি বাতিল করে দেয়।
প্রায় ১৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এখন মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখের বেশি পড়ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ছাড়া বাকিরা মানসম্মত উচ্চশিক্ষা দিতে না পারলেও স্বস্তির জায়গা হচ্ছে দেশে পড়াশোনা করায় বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে এবং সময়মতো স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানভেদে স্নাতক বা এমবিবিএস ডিগ্রি শেষ করতে ৩ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত টিউশন ফি নেয়।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, এটাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে আর্থসামাজিক মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ টিউশন ফি নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজার চাহিদা সৃষ্টি করে যে যার সুবিধামতো টিউশন ফি নিচ্ছে।আইনে আরও বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাবে না।যদিও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অর্থ তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।