দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ আগস্ট: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম শিশু ও নারী হত্যা এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন৷তিনি বলেন, যারা শিশু ও নারী হত্যা এবং ধর্ষন করেছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না৷ তাদের বিচার করা হবে৷ শুধু তাই নয়, যারা অর্থের যোগান ও পরিকল্পনা করেছে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না৷ এ পাশবিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷
মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রাউন্ড টেবিল হলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত আলোচান সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগায়োগ প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিম৷ বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা্ সম্পাদক অ্যাডভেকেট আফজাল হোসেন, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সাইফুর রহমান সোহাগ, পরিষদের্ সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছালাম মৃধা প্রমুখ৷ সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী৷
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পনেরই আগষ্ট কাল রাতে বঙ্গবন্ধুর শিশু সনত্মান শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল৷ জিয়াউর রহমান ইডেমেনিটি বিল জাতীয় সংসদের পাশ করিয়ে শিশু রাসেল হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়৷তিনি বলেন, ১২ আগষ্ট বেগম জিয়া লন্ডনে যাবেন৷ দেখে শুনে মনে হচ্ছে বেগম জিয়ার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে৷ বেগম খালেদা জিয়া তার ভুলের খেসারত দিচ্ছেন৷খা্দ্য মন্ত্রী বলেন, যে কোন পদ্ধতিতে বেগম জিয়া নির্বাচন চান৷ মনে হয় বেগম জিয়া ঠেকে শিখেছেন৷তিনি বলেন, যে কোন হত্যার বিচার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর৷ প্রধানমন্ত্রী কোন ছাড় দেবেন না৷ বিশ্বজিত্ হত্যার বিচার দ্রুত সময়ে করা হয়েছে৷ ৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে৷ জোবায়ের হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসি হয়েছে৷খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুুয়ারীর পর হত্যা অগি্নসংযোগ ও নৃশংসতাকারীদের তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না৷
তিনি বলেন, অপরাধের মূল কারন মাদক৷ মাদক সেবনকারীদের বিকৃত মানসিকতা রয়েছে৷ এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷ডাক ও টেলিযোগায়োগ মন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জাপানী এক সাংবাদিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত্কার নেয়ার সময় বলেছিলেন ছোট এই শিশু (রাসেল) আপনার সাথে ঘুর ঘুর করে কেন৷প্রতিউত্তরে জাতির জনক বলেছিলেন, এটি আমার ছেলে৷ আমি তো জেলেই থাকি৷ এ কারনে ওর কাছ ছাড়া না হই, এ জন্য আমার সাথে থাকে৷