Teknaf-Pic-a-29-06-2013

দৈনিকবার্তা-পাইকগাছা, ০৭ আগস্ট ২০১৫: টানা বর্ষণ ও কোমেনের প্রভাবে খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চিংড়িঘেরগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩০ হাজার হেক্টর কৃষিজমির মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ হয়েছে। উপজেলায় ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। চিংড়ি উৎপাদনের মৌসুমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব ঘেরই হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। খামারগুলোয় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ঘেরে মাছ মারা যাচ্ছে। ঘের মালিক চাঁদখালীর জিএম ইকরামুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে তার ঘের তলিয়ে অনেক মাছ ভেসে গেছে।

একই সঙ্গে ঘেরে পানি বৃদ্ধি মাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় ৬০ বিঘার ঘেরে মড়ক লেগেছে। তাছাড়া বাজারে মাছের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। খড়িয়া লেবুবুনিয়ার চকের মৎস্য ঘের মালিক পলাশ ঢালী জানান, তার ২৫ বিঘার ঘেরের অধিকাংশ মাছ বেরিয়ে অনত্র চলে গেছে, তিনি আরও জানান বন্যা হওয়াতে কারর পৌষমাস, আবার কারর সর্বনাশ হয়েছে। গোপালপুরের গাজী নজরুল ইসলাম জানান, তার ৮০ বিঘার ঘেরের অধিকাংশ মাছ ভেসে গেছে। নেটপাটা দিয়ে কিছু মাছ আটকিয়েছেন। কিন্তু এখন মড়ক শুরু হয়েছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না তিনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, যেসব ঘেরে মাছ মারা যাচ্ছে, ওই চিংড়িতে কোনো রোগের লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ভারি বৃষ্টিতে ঘেরের পানি বেড়ে যাওয়ায় পানির লবণাক্ততা কমে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।