দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ০৭ আগস্ট ২০১৫: ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“পের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আলী ও রাসেল নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ শহর থেকে ৭ জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাত ৯টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাহাবুব হোসেন রনিকে সভাপতি ও সানোয়ার পারভেজ পুলককে সাধারণ সম্পাদক করে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়।কিন্তু ছাত্রলীগের একাংশ ওই কমিটিকে প্রত্যাঙ্খান করে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জি এম সিরাজী মিজানকে সভাপতি ও সৌরভ দাসকে সাধারন সম্পাদক করে আরেকটি কমিটি ঘোষণা দেয়। আর এই কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম এমপি।
পাল্টা কমিটি গঠন করায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’গ্র“পের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ছাত্রলীগের সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আলী ও রাসেলকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমান শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।পরে পুলিশ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও বাশের লাঠি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ররেন জন্য তাৎক্ষনিক জেলা আওয়ামী লীগ কার্যারয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৈৗধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. সাদেক কুরাইশী, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, পৌর মেয়র এসএমএ মঈন, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ আপেল সহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।