দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ আগস্ট: বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দেশের জনগণকে তথ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করতে বিএনপি সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তিনি।বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের নানা বিষয়ে অবহিত করেন।বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে উল্লেখ করে এর কর্যক্রম ও ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
গ্রামের সাধারণ মানুষসহ সবার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও এর সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। গ্রামের মানুষসহ সবাই যেন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পান সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে সবাইকে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তি থেমে থাকে না। এটি পরিবর্তনশীল, তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়েছে। প্রযুক্তির আরও বেশি বেশি ব্যবহারের ফলে দুর্নীতি কমবে, অর্থের সাশ্রয় হবে।তিনি আরও বলেন, গ্রামের সাধারণ মানষের প্রযুক্তি ব্যবহারের চেতনা রয়েছে। এখন চিকিৎসা সেবা, টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম হয়েছে জেলায় জেলায়।ডিজিটাল সেন্টারের সুবিধার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল সেন্টার থেকে মানুষ প্রযুক্তি সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি এতে নতুন চাকরির সুযোগ হয়েছে।ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা অনেকখানি কার্যকর করেছি।
যখন টাক্সফোর্স গঠন করেছিলাম তখন অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিল। বলেছিল- এটা করে কী লাভ।এ সময় সবার কাছে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কথা তুলে ধরে বলেন, এটা জাতির জন্য কলঙ্ক। বঙ্গবন্ধু সব সময় চাইতেন জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধুকে এমন এক সময় হত্যা করা হয়, যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ নতুন করে গঠিত হচ্ছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, অনেক বেদনা নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি। আমার লক্ষ্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।
সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।সভায় উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার সভায় টাক্সফোর্সের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এ সময় জানানো হয়, গত সভায় ১৬টি সিদ্ধান্ত ছিল, যার মধ্যে ৬টি বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।