দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ০৬ আগস্ট, ২০১৫: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামীকে উপ-বৃত্তির টাকা না দেয়ায় এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে তার স্বামী গলাটিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের নাম নাজমা বেগম (১৯)। সে কাপাসিয়া উপজেলার বরচালা গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে আতাবুদ্দিনের স্ত্রী।নিহতের বাবা নাজিম উদ্দিন জানান, প্রায় দেড় মাস আগে নাজমা ভালবেসে রাজমিস্ত্রি আতাবুদ্দিনকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নাজমা তার স্বামীর বাড়িতে থাকতো। নাজমা এবছর স্থানীয় টোক এলাকার শহীদ মোমতাজ উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আগামি ৯ আগস্ট তার পরীক্ষার ফল বের হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার নাজমা কলেজ থেকে উপবৃত্তির ২হাজার ৫শত টাকা তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে। একথা জানতে পেরে আতাবুদ্দিন তাকে উপবৃত্তির ওই টাকা নাজমাকে দিতে বলে। এতে নাজমা রাজি না হওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মনমালিন্য হয়। এঘটনার জের ধরে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় নাজমাকে তার স্বামী গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে নাজমার লাশ বাড়ির পাশের আমগাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এঘটনার পর নিহতের স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তবে আতাবুদ্দিনের পরিবার জানায় নাজমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ।কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না। তবে নাজমার গলায় কালো দাগ রয়েছে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।