দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ৫ আগস্ট: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাত্র ১১ হাজার টাকার জন্য ভ্যান চালক চাচা আবুল হোসেনকে হত্যা করেছে ভাতিজা শওকত শেখ ও তার লোকজন। হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লস্কর সোহেল রানার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্ধিতে এ কথা জানায় প্রধান আসামী শওকত শেখ।
এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় অপর প্রধান ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পলিশ। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপারের (সাকের্ল) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম।গ্রেফতারকৃতরা হল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের শওকত শেখের ছেলে মাসুক শেখ (২২), মৃত আবু তালেব শেখের ছেলে তাইজুল শেখ (২২) ও জাহিদুল শেখ (২০)।
সহকারী পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ওই তিন আসামী গ্রেফতার করা হয়। এর আগে হত্যার মামলার অন্যতম প্রধান আসামী শওকত শেখকে টুঙ্গীপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের ভায়রা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।তিনি আরো জানান শওকত হোসেন শেখ পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেছে, বেশ কিছু দিন ধরে চাচা আবুল হোসেন শেখ তার ভাতিজা শওকত শেখের কাছে টাকা গচ্ছিত রাখতেন।
সর্বশেষ চাচাকে ১১ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করে শওকত।এ নিয়ে চাচা আবুল হোসেন শেখ টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে ভাতিজা শওকতের নামে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর ৫ দিন আগে চাচাকে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ভাতিজা।গত রোববার রাতে ঘর থেকে বের হওয়ার পর ভাতিজাসহ কয়েকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়। পরের দিন সোমবার স্থানীয়রা পুকুরের পানিতে লাশ দেখতে পেয়ে হৈচৈ শুরু করলে শওকত হোসেন শেখ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ আগষ্ট টুঙ্গীপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে দিনমজুর আবুল হোসেন শেখের (৫০) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার ছেলে ভ্যানচালক রবিউল শেখ শওকত শেখকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে একটি হত্যামামলা দায়ের করে।